মুক্তিযোদ্ধার ভাতা অন্যত্র দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারদ্বয় দিশেহারা

জুলফিকার আলী, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র তার পিতার মৃত্যুর পর ভাতা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে।স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদর কমান্ডারসহ বিভিন্ন স্থানে ধর্না দিচ্ছেন তিনি।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আখড়াখোলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল হোসেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযদ্ধে অংশ নেন। যার ভারতীয় তালিকা নং-১৭২,মুক্তি সনদ নং-ম-১৬৭০৭০ এবং মুক্তিযোদ্ধা তালিকার গেজেট নং-২০৬৯। তিনি গত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মৃত্যুবরণ করলে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য- তার মৃত্যুর কয়েক মাস আগেই স্ত্রীর মৃত্যু হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন এর দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। তাদের নাম দেলোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন। প্রকাশ থাকে যে, ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা কালে গত ২৩ ডিসেম্বর-১৫ তারিখে তার উন্নয়ত চিকিৎসার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কমান্ডার হাসানুল ইসলাম এক প্রত্যায়ন পত্র দেন।

কিন্তু দূর্ভোগ হলেও সত্য যে, পরদিনই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত তার নামে প্রেরিত ভাতা তার ব্যাংক হিসাবেই জমা হয়। তার পুত্রদ্বয় টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে গেলে জানতে পারেন,জমাকৃত সব টাকা অন্য হিসাব নম্বরে চলে গেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র দেলোয়ার হোসেন পাগল প প্রায় হয়ে ছুটে যান সদর কমান্ডার এর কাছে।

তিনি তাকে জানান, রেজুলেশনের মাধ্যমে তার পিতার নামের টাকা ভাতাভুক্ত না থাকায় অন্য এক মুক্তিযোদ্ধার পুত্রের হিসাব নম্বরে দিয়েছেন। কেন এবং কি কারনে ভাতা প্রাপ্ত এবং তার পিতার নামে ব্যাংক হিসাবে জমাকৃত অর্থ অন্যত্র দেওয়া হলো এর সদুত্তর জানাননি।

মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের পুত্র দেলোয়ার হোসেন দুঃখ ভারক্রান্ত হয়ে অভিযোগ করে বলেন,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সদর কমান্ডার নির্বাচনে তার পিতা বর্তমান কমান্ডার এর বিরোধী প্যানেলে অবস্থান করায় ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে পিতার ভাতার টাকা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে।

এব্যাপারে ২৮ আগষ্ট-১৬তাবিখে মৃত মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের পুত্র দেলোয়ার হোসেন জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা বরাবর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে ভাতা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।

জেলা প্রসাশক সমাজসেবা বিভাগের উপ-পরিচালককে বিষয়টি তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহনের জন্য বলেন। বর্তমানে ভাতা থেকে বঞ্চিত ওই মুক্তিযোদ্ধার দুই সন্তান ভাতা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃকপক্ষের কাছে দাবি জনিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই