মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে নির্যাতিত প্রখ্যাত ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৩৫তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত ২৯ মে ২৩ জনকে, ১৪ মার্চ ২৬ জনকে এবং ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর ৪১ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয় সরকার। তিন দফায় সব মিলিয়ে ৯০ জন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পায়।

তিন দফার কোনোটিতেই নিজের নাম নাম থাকায় ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। অবশেষে বীরাঙ্গনাদের চতুর্থ দফার তালিকায় ফেরদৌসির নাম উঠে আসে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নির্মম নারী নির্যাতন চালায় নয় মাস। প্রায় সাড়ে তিন লাখ নারীকে ধর্ষণ করে পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা। নির্যাতিত নারীদের মধ্যে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীই প্রথম যিনি প্রকাশ্যে এই বেপরোয়া ধর্ষণ ও নির্যাতনের কথা জানিয়েছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই