মুক্তি পেলেন ছাত্রলীগের সেই রনি

ইউপি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

মুক্তির পর আজ বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন তিনি। এসময় কারাগারের সামনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ফুলের মালা দিয়ে রনিকে বরণ করে আনন্দ মিছিল করেন।

গত ৭ মে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর থেকে রনিকে আটক করে বিজিবি। এসময় তার কাছে একটি নাইন এমএম পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলি ও ২৬ হাজার টাকা পাওয়া যায় বলে গণমাধ্যমে তথ্য দিয়েছিল বিজিবি।

পরে, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন নির্বাচনে দায়িত্বরত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদ। এছাড়া অস্ত্র আইনেও তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গত ২৫ মে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল মামলায় রনিকে জামিন দেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তবে অস্ত্র মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন।

এরপর রনির পক্ষে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানানো হলে গত ১৩ জুন ছয় মাসের জন্য জামিন দেন আদালত। তবে জামিন আদেশ চট্টগ্রাম কারাগারে এসে পৌঁছার আগেই ১৯ জুন অস্ত্র মামলায় রনির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

ফলে মুক্তি পাননি রনি। এ অবস্থায় জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন রনি। ২৮ জুন বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ আরও তিন মাস রনির জামিনের মেয়াদ বাড়ায়। যার ফলে আজকে মুক্তি পেলেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই