মুখের দূষিত ক্ষত দূর এবং ফিরে আসা এড়াবেন কীভাবে

মুখের দূষিত ক্ষত বেশ হতাশাকর এবং বেদনাদায়ক। আপনার যদি প্রায়ই এ ধরনের ক্ষত হয় তাহলে এর সহজ সমাধান হলো মশলাযুক্ত খাবার বা অ্যাসিডযুক্ত ফল ভক্ষণ এড়িয়ে চলা। যা আপনার মুখে প্রদাহ তৈরি করতে পারে। এছাড়া খাবার খাওয়ার পর ব্রাশ এবং ফ্লস করেও আপনি মুখ থেকে খাদ্য কণাগুলো অপসারণ করতে পারেন।
আর সোডিয়াম লরিল সালফেটযুক্ত কোনো টুথপেস্ট বা মুখ পরিষ্কারক ব্যবহার করবেন না। এই রাসায়নিকটি নরম টিস্যুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যা থেকে মুখের দূষিত ঘা সৃষ্টি হয়।
আপনার যদি অদম্য ঘা বা ক্ষত তৈরি হয় তাহলে বুঝবেন যে আপনি খনিজ পুষ্টি উপাদারেন ঘাটতিতে ভুগছেন। আপানার দেহে ফোলেট, আয়রন বা ভিটামিন বি১২ এর অভাব রয়েছে। সুতরাং সবসময় একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখার চেষ্টা করুন। শীম এবং স্পিনাক ও ব্রোকোলির মতো শাক সবজি থেকে ফোলেট আর টুনা ও ডিম থেকে আয়রন এবং ভিটামিন বি ১২ পাবেন।
এসবের ঘাটতি মেটানোর জন্য যদি সম্পূরক কোনো ওষুধের দরকার রয়েছে বলে মনে করেন তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। মানসিক অবসাদ থেকেও মু্খে ঘা হতে পারে। সুতরাং প্রচুর পরিমাণে ঘুমানো এবং টেনশন দূর করার মাধ্যমেও আপনি মুখে ঘা হওয়া থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে মুখের দূষিত ক্ষত থেকে প্রদাহজনিত পেটের পীড়া বা এইচআইভি রোগের সংক্রমণও হতে পারে। সুতরাং জীবন-যাপনের ধরনে সমন্বয় সাধন করেও যদি কোনো পরিবর্তন সাধিত না হয় তাহলে ডাক্তার দেখানোই উত্তম।
সুতরাং মুখে কোনো ঘা হতে দেখলে লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া কুলি করুন। আর ঘার ব্যাথা দূর করার জন্য সাময়িক মলম ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত, মুখের দূষিত ঘা অল্প কয়েকদিনের জন্য ব্যাথা দেয় এবং এক বা দু্ই সপ্তাহের মধ্যেই দূর হয়ে যায়। কিন্তু আপনার ঘা যদি খুব বেশি তীব্র এবং বেদনাদায়ক হয় তাহলে আপনার ডাক্তার হয়তো আপনাকে বিশেষ মুখ পরিষ্কারক বা কর্টিকোস্টেরয়েড মলম দেবেন।
সূত্র: ফক্স নিউজ



মন্তব্য চালু নেই