মুজাহিদের ফাঁসি ঠেকাতে নতুন কৌশলে শিবির!

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের চূড়ান্ত রায় প্রকাশে পর জামায়াত-শিবির কর্মীরা সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে বলে তথ্য প্রমাণ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের পক্ষে প্রচার চালানোর চেষ্টাকালে ময়মনসিংহে আটক হয়েছেন শিবির কর্মীরা। পাবনাতেও চার্চের জাজককে জবাই করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে আটক হয়েছে শিবির কর্মী। এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলায় আটক হয়েছে জামায়াত শিবিরের শতাধিক কর্মী।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, মুজাহিদের সম্ভাব্য ফাঁসি ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জামায়াত-শিবির। শেষ মরণ কামড় দিয়ে দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতাকে বাঁচানো গেছে দলের জন্য অনেকটা স্বস্তিদায়ক হবে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।

আপিল বিভাগে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২ অক্টোবর একাত্তরের খুনি বাহিনী আলবদর নেতার নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরআগে ৩০ সেপ্টেম্বর মুজাহিদের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। গত ১৬ জুন মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করে আপিল বিভাগ।

জানতে চাইলে পুলিশের সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই বিদেশি হত্যায় জামায়াত-শিবিরের হাত থাকতে পারে বলেও আমাদের সন্দেহ হয়। কারণ তাদের একজন জেষ্ঠ্য নেতার বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়েছে। এসব কিছু মাথায় রেখেই আমরা তদন্ত কাজ চালাচ্ছে।

এর আগে জামায়াতের নায়েব আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রায়কে কেন্দ্র করে দেশে ব্যাপক সহিংসতা চালিয়েছিল জামায়াত-শিবির। বিশেষ করে ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী নৈরাজ্য করেছিল তারা। এতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুজাহিদের রায়কে কেন্দ্র করে সেরকম একটি পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে তারা।

রবিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। তারা চুপ করে থাকবে এটা হতে পারে না। রায়কে কেন্দ্র করে দেশ তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।’

জানতে চাইলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘জামায়াত-শিবির যতদিন আছে ততদিন সন্ত্রাস থাকবে। আমি বুঝি না কেন সরকার তাদেরকে নিষিদ্ধ করছে না। তাদের নিষিদ্ধ এবং বিচার করা না হলে সন্ত্রাস বন্ধ হবে না।’ ঢাকাটাইমস



মন্তব্য চালু নেই