মুরসির মৃত্যুদণ্ড বহাল

মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন দেশটির আদালত। ২০১১ সালে জেল ভেঙে পালানো এবং পুলিশের ওপর হামলার মামলায় মোহাম্মদ মুরসিকে প্রাথমিক রায়ে গত মাসে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আরো ১০০ জনকে প্রাণদণ্ড দেন আদালত।

গত মাসের সেই রায় বহাল রেখে মঙ্গলবার চূড়ান্ত রায় দিলেন আদালত। প্রাথমিক রায় পর্যালোচনা করে মিশরের গ্র্যান্ড মুফতি সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হলো।

উল্লেখ্য, মিশরের বিচার ব্যবস্থায় কারো বিরুদ্ধে কোনো রায় হলে তা প্রাথমিক রায় হিসেবে গণ্য হয়। গ্র্যান্ড মুফতি শরিয়াহ আইন অনুযায়ী সেই রায়ের ওপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেন। এতে রায় পরিবর্তিত হওয়ার সুযোগ থাকে। গ্র্যান্ড মুফতি ইসলামি আইনের সর্বোচ্চ ব্যাখ্যাদাতা। তিনি সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে ভূমিকা রাখেন।

এর আগে মঙ্গলবার সকালেই আরেক মামলায় মুরসিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন একই আদালত। ফিলিস্তিনের হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইরানের শিয়াদের পক্ষে চরবৃত্তি করার দায়ে তাকে এ দণ্ড দেওয়া হয়।

২০১১ সালে ৩০ বছরের শাসক হোসনি মোবারকের পতনের পর এক বছর ব্যবধানে ২০১২ সালে মিশরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন অনুুষ্ঠত হয়। এতে জয়ী হন মুরসি। কিন্তু ২০১৩ সালের ৩ জুন মুরসি সরকারের এক বছর পূর্তিতে সেনা অভ্যুত্থানে তার পতন হয়। ক্ষমতা দখলে নেন সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। সিসির ক্ষমতার প্রায় দুই বছরে মুসলিম ব্রাদারহুড ও মুরসি সমর্থকদের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে। গণ-মৃত্যুদণ্ডের রায়ও হচ্ছে একের পর এক।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার মিশরের প্রভাবশালী সুফি ইউসুফ আল-কারাদাবিসহ আরো ৮০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র : আলজাজিরা অনলাইন।



মন্তব্য চালু নেই