মুসলমান দেশ থেকে যাওয়া হিন্দুদের বিশেষ সুবিধা দেবে ভারত

মুসলমান বাদে ভারতের নিকট প্রতিবেশী দেশ থেকে যাওয়া সংখ্যালঘুরা বিশেষ সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবকে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

বিবিসির খবরে বলা হয়, উপমহাদেশের মুসলমান দেশগুলো থেকে ভারতে যাওয়া ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য বেশকিছু সুযোগ সুবিধার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তারা এখন সেখানে বসবাসের জমিজমা কেনাসহ বেশকিছু সুবিধা পাবেন।

সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশত্যাগী এই মানুষগুলোর জীবনকে সহজ করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুরা এই সুবিধার অন্তর্ভূক্ত হবেন।

বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ ভারতে যান। দীর্ঘমেয়াদী ভিসায় ভারতে বসবাসরত হিন্দুদের পাশাপাশি শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানরা এই সুযোগ পাবেন।

ফলে তারা সম্পত্তি কিনতে পারবেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন, কর্মসংস্থান নিজেরা করতে পারেন, ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো বিভিন্ন কার্ড যেগুলো সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য জরুরি সেগুলোর জন্য তারাও আবেদন করতে পারবেন।

যেসব রাজ্যে তারা আছেন সেখানে অবাধে চলাচল করতে পারবেন। দীর্ঘমেয়াদী ভিসা না থাকলে সেজন্য আবেদনও করতে পারবেন।

আশপাশের দেশ থেকে আসা হিন্দু বা অন্যান্য সংখ্যালঘুদের আশ্রয় ও নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি ভারতে বিজেপি সরকারের নীতির একটি অংশ। আর তাদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত।

তবে পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে কোনো মুসলিম এলে এই সুবিধা পাবেন না। শুধুমাত্র সংখ্যালঘু ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষই এ সুবিধা পাবেন।

এ জন্য সাতটি রাজ্যের কতগুলো জেলাকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে এবং সেসব জেলার প্রশাসকরা তাদের আবেদনে সম্মতি দিতে পারবেন।

তবে যে ৭টি রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রশাসকদের এই সুবিধা দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কোনো জেলা নেই। তাই বাংলাদেশি হিন্দুদের বিষয়টি আরও পরিষ্কার করতে হবে।

নির্দিষ্ট সাতটি রাজ্য হল, ছত্তিশগড়, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান।

কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, বা মেঘালয় অর্থাৎ যেসব এলাকায় গিয়ে বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা গিয়ে সচরাচর থাকেন সেসব এলাকায় এসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে না।

সুতরাং তারা এসব এলাকায় কতটা লাভবান হবেন সেটি একটি প্রশ্ন। কিন্তু দিল্লিসহ নির্দিষ্ট সাতটি রাজ্যে গিয়ে তারা এইসব সুবিধা নিতে পারবেন।



মন্তব্য চালু নেই