মুসলিম শরণার্থীর পা ধুয়ে দিয়ে চুমু খেলেন পোপ ফ্রান্সিস

ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পোপ ফ্রান্সিস। ব্রাসেলস ও প্যারিস হামলাকে কেন্দ্র করে ইউরোপজুড়ে যখন মুসলিম ও অভিবাসীবিরোধী উত্তেজনা চলছে ঠিক সে সময় তিনি এই উদ্যোগ নিলেন।

ঐতিহ্যবাহী ইস্টার সপ্তাহের অংশ হিসেবে পা ধোয়ানো উৎসব উদযাপন করতে রোমের কাছে কাস্তেলনুয়োভো দি পোর্তোর একটি শরণার্থী শিবিরে যান পোপ। তার উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্রটি নিজে পরিষ্কার করবেন। সেখানে তিনি মুসলিম, অর্থোডক্স, হিন্দু, এবং ক্যাথোলিক শরণার্থীদের পা ধুয়ে দেন এবং চুমু খান।

যীশু খ্রিস্ট এই পবিত্র বৃহস্পতিবারেই পা ধোওয়া আচার সম্পন্ন করেছিলেন তার ক্রুশ বিদ্ধ হওয়ার আগে। এটা দ্বারা সেবা প্রদান করার সদিচ্ছাকে বোঝানো হয়। পোপ ফ্রান্সিস বরাবরই দরিদ্র এবং অসহায়দের প্রতি সমবেদনা ও সম্মান দেখিয়ে এসেছেন এবং নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

শরণার্থী শিবিরটিতে ‘ওয়েলকাম’ লেখা ব্যানার নিয়ে পোপকে স্বাগত জানান শরণার্থীরা। বর্তমানে ৮৯২ জন অভিবাসন প্রত্যাশী শিবিরটিতে অবস্থান করছেন। ভ্যাটিকান নিয়ম অনুযায়ী পুরুষরাই কেবল এ ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারতেন।

আগের পোপরা সে নিয়ম বজায় রেখে ১২ জন ক্যাথলিক পুরুষকে যিশু উল্লেখ করে ঐতিহ্য পালন করেছেন। তবে দীর্ঘদিনের জারি থাকা নিয়মটি গত জানুযারিতে পাল্টানোর ঘোষণা দেন ফ্রান্সিস। এ অনুষ্ঠানে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেন তিনি। নতুন নিয়মে বলা হয়, ‘পিপল অব গড’ হিসেবে যে কাউকে বেছে নেওয়া যাবে।

বৃহস্পতিবার ভ্যাটিকান কর্তপক্ষ জানায়, এবারের অনুষ্ঠানের জন্য চারজন নারী এবং ৮ জন পুরুষকে নির্বাচিত করা হয়। নারীদের একজন ইতালীয় এবং বাকি তিনজন ইরিত্রিয়ান অভিবাসী। আর পুরুষদের মধ্যে চারজন নাইজেরীয় ক্যাথলিক, তিনজন মালি, সিরিয়া ও পাকিস্তানের মুসলিম আর একজন ভারতীয় হিন্দু। -আল জাজিরা



মন্তব্য চালু নেই