মুস্তাফিজের প্রশংসায় বিশ্ব ক্রিকেট

দুর্দান্ত একটি টুর্নামেন্ট শেষ করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। আইপিএলে নিজের দল সানরাইজার্স হায়দারাবাদের চেহারাই বদলে দিয়েছিলেন তিনি। সেই দলটিই শেষ পর্যন্ত জিতলো আইপিএল নবম আসরের শিরোপা। শুরু থেকেই বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। ডেথ ওভারে এসে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরার মূল কাজটা হতো তাকে দিয়েই।

সুতরাং, তিনিই এবারের আইপিএলের সেরা আবিষ্কার। আইপিএল শেষে তার হাতেই উঠেছে সেরা নতুন প্রতিভাবান ক্রিকেটারের পুরস্কার। পুরো টুর্নামেন্টে তাকে নিয়ে শোনা গিয়েছে নানা মন্তব্য। পুরো বিশ্বের ক্রিকেট মহল ঘুরে ফিরে মন্তব্য করেছে তাকে নিয়ে।

মুস্তাফিজকে প্রসংশায় ভাসিয়েছেন সকলেই। সেই মুস্তাফিজুরের প্রথম আইপিএল শেষ হল সাফল্যের সঙ্গে। চোটের জন্য খেলতে পারেননি প্লে অফের একটি ম্যাচ; কিন্তু ফাইনালে ফিরেছেন স্বমহিমায়। আইপিএল শেষে চ্যাম্পিয়ন সানরাইজার্সের অন্যতম সেরা বোলার মুস্তাফিজকে নিয়ে প্রশংসায় মেতে উঠেছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।

রামিজ রাজা: অ্যান্ডারসন, স্টেইনদের মতো প্লেয়াররা রয়েছেন। যারা টেস্টে খুব ভাল; কিন্তু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এই মুহূর্তে সেরা পেসার মুস্তাফিজুর রহমানই।

মনোজ প্রভাকর: এটা নিয়ে কোনও সংশয় নেই মুস্তাফিজুরই এই মুহূর্তের সেরা বোলার। শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা ভাল ইয়র্কার দিতে পারে; কিন্তু মুস্তাফিজুর এখন তার সেরা ফর্মে রয়েছে। ও দারুণ দ্রুততার সঙ্গে কাটার করতে পারে। একই সঙ্গে বলে নানা রকম পরিবর্তন আনতে পারে।

কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত: এই মুহূর্তে তার থেকে ভাল বোলার খুব একটা নেই; কিন্তু ওকে এই খেলাটা আরও কিছুদিন ধরে রাখতে হবে। তারপরই তাকে আমরা সেরার তকমা দিতে পারব।

ডেল স্টেইন: ওয়াসিম আক্রামের মধ্যে যে এক্স-ফ্যাক্টর ছিল সেটা মুস্তাফিজুরের মধ্যেও আছে। ওর বোলিং দেখতে দারুণ লাগে। ও যেভাবে পেসের পরিবর্তন করে সেটা আগে দেখিনি। ও আরও উন্নতি করবে।

রবি শাস্ত্রী: এ ছেলে বিস্ময় প্রতিভা। ভারতের বিরুদ্ধে একটা ওয়ানডে সিরিজে দুটো পাঁচ উইকেট নেওয়া পারফরম্যান্স দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিল। এরকম প্রতিভাকে লালন করতে হবে।

হাবিবুল বাশার: টি-টোয়েন্টিতে যেখানে বোলারদের উপর চড়াও হয় ব্যাটসম্যানরা, সেখানে ও রানের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখছে। ওকে মেরে খেলা বিপজ্জনক বলেই ব্যাটসম্যানরা মেরে খেলতে চায় না।

মুত্তিয়া মুরালিধরন: মুস্তাফিজ শুধু বাংলাদেশ নয়, এই আইপিএলে হায়দরাবাদেরও বড় সম্পদ হয়ে উঠে এসেছে। ওকে সঠিক পরিচর্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। তবেই ওর জন্য আগামীতে ও আরও বড় সাফল্য পাবে।

ডার্ক ন্যানেস: এখনও পর্যন্ত মুস্তাফিজুরের বল কেউ পড়তে পারেনি। যেভাবে অ্যাকশন পরিবর্তন না করে বলের গতি বদলে ফেলতে পারে সেটাই সবাইকে ধন্দে ফেলে দেয়।



মন্তব্য চালু নেই