মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোটে যা লিখে গেছেন রাবি শিক্ষিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতকা বিভাগের শিক্ষক আকতার জাহান জলি (৪৫) আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। ওই শিক্ষকের শয়নকক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট এবং একটি কীটনাশকের বোতলও উদ্ধার করা হয়েছে। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ঘরের বিছানার মশারির ভেতরে আকতারের লাশ পড়ে ছিল। সেখান থেকে একটি কীটনাশকের বোতল এবং সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে।

সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। শারীরিক ও মানিসক চাপের কারণে আমি আত্মহত্যা করলাম। সোয়াদকে যেন তার বাবার কাছে না রাখা হয়। যে বাবা তার ছেলের গলায় ছুরি ধরতে পারে, সে তাকে (সোয়াদ) মারতে বা মরতে বাধ্য করতেও পারে।’

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের চিকিৎসক মাহিনুল ইসলাম জানান, শিক্ষক আকতার জাহানের মুখে লালা ছিল। ঠোঁটও কালো হয়ে গেছে। কেমিক্যাল জাতীয় কিছুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

suicide

আকতার জাহান গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক সভাপতি তানভীর আহমেদের প্রাক্তন স্ত্রী। বছর তিনেক আগে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। তাদের আয়মান ফুয়াদ আহমেদ নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সে ঢাকায় পড়াশোনা করে।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষকদের আবাসিক ভবন জুবেরির একটি কক্ষের দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মশিহুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জুবেরি ভবনের একটি কক্ষের দরজা ভেঙে আকতার জাহানকে উদ্ধার করা হয়। ওই কক্ষে তিনি থাকতেন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি জানান, আকতার জাহানকে বিছানায় শোয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মুখে ফেনা ও রক্ত বেরিয়ে আসার মত কালো দাগ ছিল।



মন্তব্য চালু নেই