মৃত শিশুর খিলখিল হাসিতে আজও চমকে যান পথচারীরা!

মার্চ মাসে ভারতের কলকাতার বুকে ঘটে গিয়েছিল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গণেশ টকিজের কাছে ভেঙে পড়েছিল পোস্তা উড়ালপুল। মুহূর্তের মধ্যে পিষে গিয়েছিল বহু প্রাণ। শোনা যায় ভারি ইট-কাঠ-পাথরের নিচে চাপা পড়ে যাওয়া ব্যক্তিরা নাকি শেষ পর্যন্ত সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু একটু পানি চেয়েও পাননি তারা। মৃত্যুমুখে তলিয়ে গিয়েছিলেন একটু একটু করে। আজও নাকি গণেশ টকিজের কাছে হঠাৎ করে পানি চেয়ে মিলিয়ে যায় অশরীরী। কিংবা পথ চলতি মানুষ হঠাৎ করেই শুনতে পান আর্তনাদ। কিন্তু কে আর্তনাদ করছেন তা আর দেখা যায় না।

ঠিক পোস্তা উড়ালপুলের মতোই দুর্ঘটনা ঘটেছিল গোয়ার জানকি বন্ধে। গোয়ার লোকায়ত থেকে দ্রামপুর যাওয়ার মাঝে ছিল এক সেতু। আর সেই সেতু ভেঙেই সেই অঞ্চলে ঘটে গিয়েছিল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। শোনা যায়, দুর্ঘটনার সময়, ব্রিজের উপর দিয়ে যাচ্ছিল একটি স্কুল বাস। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায়, বাসটিও উল্টে পড়ে যায় পানিতে। শোনা যায়, ওই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বস্তির একটি মানুষকেও প্রাণে বাঁচানো যায়নি। শোনা যায়, ওই বাসে থাকা একটি শিশুও নাকি আর জীবনের আলো দেখতে পায়নি।

কিন্তু শরীরের মৃত্যু হলেও, আত্মার তো মৃত্যু হয় না। আর তাই সেই শিশুদের আত্মা নাকি আজও ঐ জানকি বন্ধে ঘুরে বেড়ায়। কখনও খিলখিলিয়ে হাসে। কখনও আবার আর্তনাদ করে। কখনও আবার প্রাণ বাঁচানোর অনুরোধ করে। আর তাদের এই আনাগোনায় এই অঞ্চল দিয়ে চলাফেরা করা বেশ কঠিন হয় দুর্বলচিত্ত মানুষদের। -সংবাদ প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই