মেক্সিকোর পিরামিডের নীচে গোপন কুঠুরি আর তাতে পরলোকের বার্তা

দক্ষিণ আমেরিকার প্রাচীন সভ্যতাগুলি নিয়ে রহস্য আজও কাটেনি। সম্প্রতি আরও এক রহস্যের সন্ধান পেলেন মেক্সিকের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যানথ্রোপোলজি অ্যান্ড হিস্ট্রি-র প্রত্নতত্ত্ববিদ সের্গিও গোমেজ।

২০০৩ সালে গোমেজ এক পিরামিডের নীচে ৫টি চোরাকুঠুরির সন্ধান পেয়েছিলেন। সেই কক্ষগুলি আশ্চর্য সব জিনিসপত্রে ঠাসা ছিল। জাগুয়ার বা নেকড়ের কঙ্কাল থেকে শুরু করে দামি পাথরের মূর্তি— সবই ছিল সেই ঘরগুলিতে। গোমেজ দেখেছিলেন, মেক্সিকোয় অলভ্য পাথরের মূর্তিও সেখানে ছিল।

তাঁর অনুমান, গুয়াতেমালা ও ক্যারিবিয়ান থেকে এই পাথরগুলি আনা হয়েছিল। সেদিক থেকে দেখলে, মেক্সিকোর প্রাচীন তিওতিহুয়াকান সভ্যতার সঙ্গে রীতিমতো যোগাযোগ ছিল এই সব দেশের।

এই আবিষ্কারের পরে গোমেজ লক্ষ করেন, আর এক পিরামিডের নীচে সমাধি কক্ষে এক বিশেষ ধরনের পাউডার রয়েছে। ‘সিনাবার’ হিসেবে পরিচিত এই পাউডারে পারদ মিশ্রিত থাকে। কিন্তু এই কবরে কেবল পাউডার নয়, তরল পারদের অস্তিত্বও লক্ষ করেন তিনি। মেক্সিকান সভ্যতায় তরল পারদের খোঁজ এতদিন পাওয়া যায়নি।

গোমেজ দেখেন, পারদ দিয়ে একপ্রকার মানচিত্র আঁকা রয়েছে তিওতিহুয়াকান শহরের বিখ্যাত সর্পপিরামিডের সেই গোপন কক্ষে। গোমেজের ধারণা, এর সঙ্গে নিবিড় যোগ রয়েছে এই সভ্যতার মানুষের পরলোক-ভাবনার। পারদ দিয়ে তারা পরলোকের মানচিত্র আঁকত বলেই তিনি মনে করছেন। কোথাও নদী, কোথাও বা সরোবর আঁকা রয়েছে পারদের সাহায্যে।

গোমেজের এই আবিষ্কার মেসোআমেরিকান সংস্কৃতি সম্পর্কে নতুন আলোকপাত করতে পারে বলে মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিক মহল।



মন্তব্য চালু নেই