মেঘনা ও দস্যুদের গ্রাসে বিলিন হয়ে যাচ্ছে ভোলার উপকূলীয় চরঞ্চালের বনভূমি!

ভোলার ও উপকূলীয় চরঞ্চালের বনভূমি মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পরে প্রতিদিন বিলিন হচ্ছে। অন্য দিকে বনদস্যুদের কু-দৃষ্টির হাত থেকে ও রক্ষা পাচ্ছেনা সবুজ বেষ্টনীর সৌন্দর্যময় বনাঞ্চল। দেখার যেন কেউ নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলা জেলার একাধীক চর সহ ৮টি রেঞ্জের অধীনে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার একর জমিতে সবুজ বেষ্টনীর বনাঞ্চল করার সরকারী ভাবে নির্দেশ রয়েছে। এর মধ্যে রিপার কারা হয়েছে ৯৫ হাজার ১৩৬.২৬২ একর জমি। প্রতিনিয়ত নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে প্রায় ৮৯৬৫.৯০ একর জমির বনাঞ্চল। এর মধ্যে রয়েছে ভোলার জেলার চর মানিক, চর জব্বার, চর নিউটন, চর নিজাম, চর জংলী, চর মনপুরা, চর ফয়েজ উদ্দিন, চর জহিরউদ্দিন, চর কচুয়া, ভাসান চর, চর পাতিলা, চর কুকড়ি মুকড়ি ও ঢাল চর। এর মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচার বনঞ্চালটি অন্যতম।
এই চরে প্রায় ৩১.৩১ বর্গ মাইলের মধ্যে ২৮.২১ বর্গ মাইল জমি জুড়ে বনাঞ্চল রয়েছে। এই বনে রয়েছে কেওড়া, গেওয়া, বাইন, রেইনট্রি ক্যারপা, সুন্দরী, পসুরসহ বিভিন্ন প্রভৃতি মূল্যবান গাছ রয়েরছ। এখানে হরিণ, শিয়াল, বন বিড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির পাখির অভয়স্থল। কোন হিং¯্র পশুর ভয় না থাকলেও বনে রয়েছে সাপ। তবে সেগুলো নিশাচর। শীতের মৌসুমে সুদুর থেকে আসা অতিথি পাখিরাও এখানে আসতে ভুল করে না। এখানে পরিকল্পিত ভাবে বনাঞ্চল শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। বনাঞ্চলের পরিমান সন্তোষজনক হলেও এখানে অবহেলার কারনে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে নেই কোন জোরালো ব্যবস্থা। এই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে বনদস্যুরা। এক দিকে নদী ভাঙ্গনের কবল পরে প্রতিদিন বিলিন হচ্ছে এই ঢালচরের সৌন্দর্য বনভূমি। অন্য দিকে বনদস্যুরা রেঞ্জের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে আতাত করে সুযোগ বুঝে অবাদে গাছ কেটে নিয়ে ট্রলারের উপরেও নিচে বোজাই করে দেশের বিভিন্ন জাগাই নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে জলদস্যু ও গাছ খেকো বনদস্যুদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে এখানে তৈরী হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে ঢালচর ইউনিয়নের রেঞ্জ বন কর্মকর্তা জানান, গাছ গুলো সাগরের নুনা পানির ঢেউয়ের সাথে বালি গিয়ে জমার কারণে মরে যাচ্ছে। আর মরা গাছ গুলো লোকজন কেটে নিয়ে লাকড়ি হিসেবে ব্যাবহার করছে। এর বেশি কিছু বলতে পরবেনা বলে অপরাগত প্রকাশ করেন।



মন্তব্য চালু নেই