মেমরি কার্ড না বদলে ফোন মেমরি স্পেস বাড়াবেন কী করে? জেনে নিন

কত দিন পরে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হল, মোবাইলে যেই সুন্দর মুহূর্তটা ধরে রাখতে যাবেন, অমনি স্ক্রিনে বড় বড় নোটিফিকেশন ফুটে উঠল ‘নো এনাফ মেমরি’। বোঝো ঠেলা! এখন কোন‌টা ছেড়ে কোন ছবিটা ডিলিট করবেন বলুন তো? আর কত বারই বা মেমরি কার্ড বদলাবেন? জানেন কি, মেমরি কার্ড না বদলেও কিছু টিপস‌্ মেনে চললেই ফোন মেমরির অনেকটা আগলে রাখা যায়। কী সেগুলো দেখে নিন:

image (7)

ক্যামেরার রেজলিউশন: ফোনের মেমরির সর্বাধিক দখল করে থাকে ছবি এবং ভিডিও। ছবি এবং ভিডিওর সংখ্যা যদি একান্তই কমাতে না পারেন, তা হলে ফোনের রেজলিউশন কমিয়ে-বাড়িয়ে মেমরি স্পেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।

image (8)

হোয়াটস্অ্যাপে অটো-ডাউনলোড: রোজ হোয়াটস্অ্যাপে সকলেরই একাধিক ভিডিও বা যে কোনও রকমের মিডিয়া ফাইল ঢুকে থাকে। যা অটো-ডাউনলোড হয়ে থাকে। আপনাকে হোয়াটস্অ্যাপে কে কী পাঠাচ্ছেন তার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। হোয়াটস্অ্যাপ ফোন সেটিংসে গিয়ে ‘মিডিয়া অটো-ডাউনলোড’ অপশনটা নিষ্ক্রিয় করে দিন।

image (9)

ম্যাজিক ক্লিনার অ্যাপ: অটো-ডাউনলোড অপশন নিষ্ক্রিয় করতে না চাইলে মেমরি স্পেস বাড়ানোর আরও একটা উপায় রয়েছে। অযাচিত হোয়াটস্অ্যাপ ফটো এবং ভিডিও বাছাই করে তা ফোন থেকে সহজেই মুছে ফেলতে সাহায্য করে।

image (10)

ব্যাকআপ: অ্যানড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা তাঁদের সমস্ত ফটো, ভিডিও গুগল লাইব্রেরিতে জমা করতে পারেন। একই ভাবে, অ্যাপল ব্যবহারকারীরা এই সমস্ত কিছু আইক্লাউড অ্যাপ্লিকেশনে জমা করতে পারেন। এর ফলে মোবাইল ফোনের মেমরি স্পেস অনেকটাই বাড়বে।

image (11)

ই-মেল সিনক্রোনাইজ: মোবাইল ফোনের ই-মেল অপশনে গিয়ে প্রয়োজন মতো সিনক্রোনাইজ-র দিন বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিন।

image (12)

অযাচিত অ্যাপ মুছে ফেলুন: এমন অনেক অ্যাপ্লিকেশন এবং গেম আমাদের ফোনে থেকে যায় যেগুলো এখন আর কাজেই লাগে না। কিন্তু মোবাইলের অনেকটা মেমরি স্পেস দখল করে থাকে তারা। যত দ্রুত সম্ভব এই অযাচিত অ্যাপ ফোন থেকে সরিয়ে ফেলুন।



মন্তব্য চালু নেই