মেম্বারের ছেলে নারী শিশু নির্যাতন মামলার আসামী, শাহরাস্তি থানায় গ্রেফতার

চাটখিল উপজেলার ইসলামপুর মুরাইম গ্রামের কালাম মেম্বারের ছেলে ওয়াসিম রাব্বানী শিপন (২৯) ও লিটন (৩৬) কে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় রাতে শাহরাস্তি থানা পুলিশ গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। চাঁদপুর বিজ্ঞ নারীও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শাহারাস্তি থানার খেড়িহর গ্রামের মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার মেয়ে মারজাহান আক্তার (২৪) এর সাথে ২০০৯ সালের ৩ জুলাই চাটখিল ইসলামপুর মুরাইম গ্রামের আবুল কালাম মেম্বারের ছেলে ওয়াসিম রাব্বানী শিপনের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর মারজাহানের পিতা বিভিন্ন সময়ে শিপনকে নগদ ১২ লাখ টাকা, টিভি, ফ্রিজ ও স্বর্নালংকার প্রদান করেন। শিপন মারজাহানের সংসারে জাইম ইবনে রাব্বানী নামে ৩ বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। ৮ মে ২০১৫ তারিখে হঠাৎ করে শিপন মারজাহানের কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে, মারজাহান অনেক আকুতি মিনতি করে বলে আমার বাবা আর কোন টাকা পয়সা জিনিসপত্র দিতে পারবেনা। শিপন চরম উক্তোজিত হয়ে মারজাহানের তল পেটে লাথি মারে। শিপনের বাবা কালাম মেম্বার মাতা শামছুন নাহার ভাই রিপন, লিটন সহ তার সাথে যোগ দিয়ে মারজাহানের চুলের মুঠি ধরে কিল, ঘুষি মারতে থাকলে মারজাহানের গর্ভে থাকা নবজাতক শিশু রক্ত¯্রাব আকারে বের হয়ে যায়। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে তাহা প্রমান হয়। মারজাহানের জ্ঞান ফিরার পর সে তার মাকে ফোন করলে তার মা আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে এসে মারজাহানকে উদ্ধার করে নিয়ে, ঢাকা রেনেসা হাসপাতালে ২৫ দিন যাবত চিকিৎসা করান। চিকিৎসা শেষে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। কালাম মেম্বার ও তার ছেলেদের ব্যাপারে ইসলামপুর মুরাইম গ্রামের সরজমিনে গিয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকইে বলেন তার দীর্ঘদিন এ গ্রামে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। তারা ধরাকে সরাজ্ঞান মনে করে। এ ব্যাপারে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হানিফের মুঠো ফোনে জানার জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।



মন্তব্য চালু নেই