মেসিকে ফেরাতে মরিয়া ম্যারাডোনা-মাকরি

অবেলিস্ক। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের সেন্ট্রাল এভিনিউতে অবস্থিত একটি স্মৃতিসৌধ। যেখানে ঐতিহ্যগতভাবে খেলাধুলার বিজয়কে উদযাপন করে থাকেন আর্জেন্টাইনরা। লিওনেল মেসিকে জাতীয় দলে ফেরাতে শনিবার সন্ধ্যায় সেই অবেলিক্সের সামনে জড়ো হয়েছিলেন তারা। সেখানে জনতার সঙ্গে কিংবদন্তি দিয়োগো ম্যারাডোনাকে নিয়ে হাজির হন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মাউরিসিও মাকরিও।

উপস্থিত জনতার একটাই দাবি, ‘অভিমান ভেঙে ফিরো এসো মেসি। এই মুহূর্তে জাতীয় দলকে ছেড়ে দিও না। তোমার অবসরের সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত! সাদা-আকাশী জার্সিতে তোমাকে আবারো দেখতে চাই।’

এক মেসি ভক্ত সান্তিয়াগো বারদারো বলেন, ‘আমি বলতে চাই, প্রত্যেক ৫০০ মিলিয়ন বছরে একজন মেসি জন্মায়। আমরা সেটাই উপভোগ করছি। বিধাতার কাছে এজন্য কৃতজ্ঞ যে আমরা সেই সময়টাতে বাস করছি।’

আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি মাকরি একান্তভাবেই চাইছেন জাতীয় দলে ফিরে আসুন লিওনেল মেসি। লিওকে তিনি অনুরোধও করেছেন। তিনি আশা করছেন, অবসর ভেঙে মাঠে ফিরবেন মেসি। গোটা ফুটবল বিশ্ব ফের মেসি জাদুতে মোহিত হয়ে উঠবেন। তিনি বলেন, ‘ফের বলছি, মেসি ঈশ্বরের দান। আমরা ভাগ্যবান আমাদের দেশে বিশ্বের সেরা ফুটবলার রয়েছে। আমি আশাবাদী মেসি জাতীয় দলের হয়ে খেলবে। ও আমাদের ছেড়ে যাবে না।’

দিয়েগো ম্যারাডোনা বলেন, ‘মেসি আবারও জাতীয় দলে ফিরবে। কেননা দলে তাকে খুবই প্রয়োজন। বিশ্বচ্যাম্পিন হতে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলবে সে। এমনটাই আমার বিশ্বাস।’

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ৩-০ ব্যবধানে পরাস্ত হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ওটাই ছিল বড় কোনো আসরের ফাইনালে আর্জেন্টিনার হয়ে লিওনেল মেসির প্রথম হতাশা। এরপর ২০১৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে পরাজয়।

২০১৫ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হার। বছর ঘুরতে একই ফল। ২০১৬ সালে টাইব্রেকারে সেই চিলির কাছে ধরাশায়ী হয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে আর্জেন্টিনার। চারটা মেজর ফাইনালে এমন ফলে ভীষণ হতাশ দলীয় অধিনায়ক লিওনেল মেসি। কতটা কষ্ট পেলে মেসি এ কথা বলতে বাধ্য হন যে ‘আর্জেন্টিনার হয়ে ট্রফি আমার কপালে নেই!’ যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত সদ্য সমাপ্ত কোপা আমেরিকা ফাইনাল শেষে জাতীয় দলের জার্সি তুলে রাখার ঘোষণা দেন মেসি।



মন্তব্য চালু নেই