মেসির জীবন: লাল কার্ডে শুরু, কান্নায় শেষ

‘স্বপ্ন একদিন আর্জেন্টিনার হয়ে খেলব’ – কথাটি বলেছিলেন লিওনেল মেসি। স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল দ্রুতই। মাত্র ১৮ বছর বয়সে জাতীয় দলে ডাক পান। আজ থেকে ১১ বছর আগে সাদা-নীল জার্সি গায়ে মাঠে নামেন। কিন্তু মাঠ ছাড়ার পর অনুভূতি প্রকাশে বলেছিলেন, ‘আজ যা হয়েছে, তা আমি কখনো স্বপ্ন দেখিনি।’

মেসি হয়তো সেদিন কান্না করেননি। কিন্তু কাঁদো কাঁদো কণ্ঠেই নিজের অভিষেকের অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন। কারণ মাঠে নামার ৩০ সেকেন্ড পর লাল কার্ড দেখে উঠে যেতে হয়েছিল তাকে।

অভিষেকটা হয়েছিল লাল কার্ড দিয়ে। আর বিদায়টা হলো কান্না দিয়ে। মেসি হয়তো এবারও স্বপ্ন দেখেননি যে তিনি কাঁদতে কাঁদতেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাবেন। কিন্তু তাই করতো হলো। কারণ তার দল টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে হেরেছে। তাতে খল নায়ক হলেন এই তারকা। কারণ টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন আলবিসেলেস্তেদের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোল স্কোরার।

২০০৫ সালের ২ জুলাই নেদারল্যান্ডে যুব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। সেবার ফাইনালে ২ গোল করেছিলেন তরুণ মেসি। তাতেই সিনিয়র দলের কোচ পেকেরম্যানের নজর কেড়েছিলেন।

এক মাস পরে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে হাঙ্গেরির বিপক্ষে অভিষেক হয় মেসির। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে বুদাপেস্টের মাঠে নামেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান।

2016_06_27_21_02_34_6v2lLld8er6oUkhUtRbmk3UWFS8lOO_original
২০০৫ সালে লাল কার্ড দেখার পর মেসি-ফাইল ফটো

শুরুতে যে দুঃখ পেয়েছিলেন মেসি, ক্যারিয়ারের শেষ দিন পর্যন্ত সে দুঃখ কাটাতে পারেননি। ২০০৬ বিশ্বকাপে খেললেন। তার দল বিদায় নিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। ২০০৭ সালে কোপার ফাইনালে হার। ২০১০ বিশ্বকাপেও বিদায় শেষ আট থেকে। ২০১৪ বিশ্বকাপে হারল ফাইনালে। তিন বিশ্বকাপেই মেসিকে কাঁদাল জার্মানি।

২০১৫ ও ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার দুটি ফাইনাল খেললেন মেসি। দু’বারই কাঁদাল চিলি। যে কান্না দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে খেলা শুরু করেছিলেন। সেটি বজায় ছিল শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। প্রথম ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন। শেষ ম্যাচে দেখলেন হলুদ কার্ড। অবশ্য হাঙ্গেরির বিপক্ষে তার অভিষেক ম্যাচে আর্জেন্টিনার ২-১ গোলে জিতেছিল। কিন্তু শেষ ম্যাচে হারল ৪-২ গোলের ব্যবধানে।



মন্তব্য চালু নেই