মেসির জোড়া গোলের নকআউট বার্সা

প্রথম লেগে নিজে মাঠে হ্যাটট্রিক করে দলে এনে দিয়েছিলেন বড় জয়। তবে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মেসি জ্বলে উঠলেও উৎসব করতে পারেনি বার্সেলোনা। মেসির জোড়া গোলে স্কটল্যান্ডের দল সেল্টিককে ২-০ গোলে হারিয়েছে বার্সা। আর এ জয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে।

গ্ল্যাসগোর সেল্টিক পার্কে ম্যাচের শুরুটা থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থেকে বার্সা। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ১০ মিনিটে দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি; কিন্তু গোলরক্ষককে কোনো পরীক্ষাতেই ফেলতে পারেননি। তবে ম্যাচের ২৪ মিনিটে মেসিকে আর কোন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি সেল্টিক গোলরক্ষক। নেইমারের বাড়ানো বলে ক্ষিপ্র গতিতে রক্ষণ ভেঙে পোস্ট ঘেঁষে লক্ষ্যভেদ গোল করেন মেসি।

ম্যাচের ৩৫ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ পায় নেইমার। তবে রক্ষণের ভুলে ডি বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়েও নিজে শট না নিয়ে সামনে বল বাড়ান, সতীর্থরা কেউ ছিল না সেখানে। আর ম্যাচের ৪১ মিনিটে লুইস সুয়ারেসের জোরালো হেড দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে দেন স্কটিশ গোলরক্ষক ক্রেইগ গর্ডন। ফলে ১-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বার্সা।

বিরতি থেকে ফিরে বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগানের দৃঢ়টায় সমতায় ফিরতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা। ৫৫তম মিনিটে ডিফেন্ডার এমিলিও আর্তুরো নিজেদের ডি বক্সে লুইস সুয়ারেসকে টেনে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। তা থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত মেসির এটি নবম গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার মোট গোল হলো ৯২টি।

৬৭তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণের সুবর্ণ সুযোগ হারান মেসি। বাঁ-দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে নেওয়া শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ৭১তম মিনিটে সুইডিশ ডিফেন্ডার মিকায়েল লুসটিগের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন নেইমার। দুজনকেই দেখতে হয় হলুদ কার্ড। এর ফলে গ্রুপের শেষ ম্যাচে খেলতে পারবেন না নেইমার।

ম্যাচের ৮৪ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখাতে পারতেন সুয়ারেস। কিন্তু মেসির ছোট পাস ধরে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে তার নেওয়া শট পোস্টে লাগলে ব্যবধান আর বাড়েনি। ফলে বাকি সময় আর গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সা। অন্য ম্যাচে বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে নকআউট পর্বের টিকেট নিশ্চিত হয়ে গেছে ম্যানচেস্টার সিটির।



মন্তব্য চালু নেই