মেসি-জাদুতে বার্সার লন্ডন জয়

দুর্বার গতিতে ছুটতে থাকা বার্সেলোনাকে রুখতে পারল না আর্সেনালও। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে আর্সেনালকে তাদের মাঠেই ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে লুইস এনরিকের দল।

স্প্যানিশ জায়ান্টদের পক্ষে দুটি গোলই করেছেন দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি। আর এই জয় নিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সেলোনা নিজেদের অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে গেল ৩৩ ম্যাচে।

মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য কোনো গোল হয়নি। এই অর্ধে বার্সার চেয়ে আর্সেনালের আক্রমণেই ধার ছিল বেশি। বেশ কয়েকবার বার্সার রক্ষণকে কাঁপিয়ে দেয় স্বাগতিকরা। ২২ মিনিটে তো এগিয়েও যেতে পারত তারা। কিন্তু পোস্টের খুব কাছে বল পেয়েও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলেইন।

প্রথমার্ধের শেষ দুই মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দুটি দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনাও। বক্সের ভেতর মেসির বাড়ানো বল থেকে ফাঁকায় বল পেয়েও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি লুইস সুয়ারেজ। পরের মিনিটে ডানদিক থেকে সুয়ারেজকে দারুণ একটি ক্রস দিয়েছিলেন দানি আলভেজ। উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার এবার ঠিকমতো মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। বল তার মাঠে ছুঁয়ে পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫৯ মিনিটে দুর্দান্ত এক সেভে আর্সেনালকে গোলবঞ্চিত করেন বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগেন। অলিভিয়ে জিরুদের দারুণ এক হেডে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে একহাতে ঠেকিয়ে দেন এই জার্মান গোলরক্ষক।

৭১ মিনিটে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজের দারুণ বোঝাপড়ায় এগিয়ে যায় বার্সা। মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়ে নেইমারকে বাড়ান সুয়ারেজ। বক্সের কাছে এসে নেইমার আবার বল দেন মেসিকে। আর্সেনাল গোলরক্ষক পিওতর চেককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়। চেকের বিপক্ষে এই প্রথম গোল করলেন মেসি।

সাত মিনিট পর সুয়ারেজও গোল পেয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তার শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। এরপর ৮৩ মিনিটে বক্সের ভেতর মেসিকে ফাউল করে বসেন আর্সেনালের ফ্লামিনি। পেনাল্টি পেয়ে যায় বার্সা। পেনাল্টি থেকে মেসি নিজেই দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

শেষ পর্যন্ত এই স্কোরলাইন ধরে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। শেষ আটে উঠতে হলে ন্যু ক্যাম্পে ফিরতি লেগে অবিশ্বাস্য কিছুই করে দেখাতে হবে আর্সেনালকে।



মন্তব্য চালু নেই