মেসেজ ডিলিট করলেই জেল!

আপনার বন্ধুকে কি প্রায়ই আন্তরিক মেসেজ পাঠান? সঙ্গীকে ক্ষণে ক্ষণে একান্ত বার্তা পাঠাতে পছন্দ করেন? কিংবা ভালবাসার প্রস্তাব পাঠান সহকর্মীকে? অথবা মোবাইল অ্যাপের মেসেজিংয়েই কি সেরে ফেলে খুব গোপনীয় বিজনেস ডিল? পরে এ সব বার্তাই মুছে দেন? এবার ম্যাসেজ ডিলিট করার কথা চিন্তা করা ভুলে যান। আর যদি করেও থাকেন তাহলে আর তো রেহায় নাই সোজা জেল। এবার নাগরিকদের মেসেজ পড়তে পারবে সরকার। শুধু তাই নয়, নব্বই দিন পর্যন্ত ডিলিট করা যাবে না এ ধরনের অ্যাপের কোনও মেসেজ। এমনই নীতি চালুর প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। প্রস্তাবিত এই নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক।

তাহলে এবার সাবধান! কড়া হচ্ছে সরকার। আপনার গোপন বার্তায় নজরদারি চালাতে নয়া নীতি চালুর প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। কী রয়েছে প্রস্তাবিত নয়া নীতিতে?

ব্যক্তিগত বার্তায় সরকারি নজরদারি হোয়াটস অ্যাপ, হ্যাঙ আউট, স্ন্যাপ চ্যাট, ই মেল, আই মেসেজ পড়তে পারবে সরকার। বাধ্যতামূলকভাবে ৯০ দিন ডিলিট করা যাবে না মেসেজ চাইলে মেসেজ পড়তে দিতে হবে নিরাপত্তা এজেন্সিকে নির্দিষ্ট সময়ের আগে মেসেজ ডিলিট করে দিলে আইনি ব্যবস্থা, হতে পারে জেলও।

কারা আইনের আওতায়? সরকারি দফতর, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ নাগরিক

ইতিমধ্যেই নয়া জাতীয় সাঙ্কেতিক লিখন নীতি (ন্যাশনাল এনক্রিপশন পলিসি) খসড়া পেশ করেছে কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতর তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০০-এ ৮৪ (এ) ধারার আওতায় নতুন জাতীয় সাঙ্কেতিক লিখন নীতি (ন্যাশনাল এনক্রিপশন পলিসি) আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে

নয়া নীতি নিয়ে সব নাগরিকের মতামত চাওয়া হয়েছে ১৬ অক্টোবর ২০১৫-র মধ্যে মতামত জানাতে হবে তবে কেন্দ্রীয় এই নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে বিতর্কের ঝড়।



মন্তব্য চালু নেই