মেয়রকেও পাত্তা দিচ্ছেন না ইঞ্জিনিয়ার

ঢাকার এক এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে এক প্রকৌশলীকে চারবার টেলিফোন করেও সমস্যার কোনো সমাধান পাননি বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। তবে সেই প্রকৌশলীর নাম প্রকাশ করেননি তিনি।

আনিসুল হক বলেন, ‘নগরীতে জলাবদ্ধতা রয়েছে। নগরবাসীর কষ্ট কমানোর জন্য দায়িত্বরত এক ইঞ্জিনিয়ারকে ৪ বার ফোন দিয়েছি। কিন্তু তিনি জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যা সমাধান করতে পারেনি।’

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা ও ইফতার পার্টিতে তিনি এ কথা বলেন।

মতবিনিময় সভা ও ইফতার পার্টির আয়োজন করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

আনিসুল হক আরো বলেন, ‘আমরা ৫ বছরের জন্য এসেছি। আজ আমাদের বয়স এক মাস ২৮ দিন। এরই মধ্যে আমি ৩৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩১টি পরিদর্শন করেছি। ঈদের পর বাকি ওয়ার্ডগুলোতে যাবো।’

বিলবোর্ড ঢাকার পরিবেশ নষ্ট করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা ওলিতে-গলিতে গিয়ে অবৈধ বিলবোর্ড ভেঙে ফেলার জন্য বলেছি। আপনারা যদি সাহায্য না করেন, আমার মতো ১০ মেয়র এসেও পারবে না। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে করপোরেশনের ৪ হাজার কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রয়োজনে নগরীর ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে আমরা যুদ্ধে নামবো।’

মেয়র বলেন, ‘আমাদের (কর্পোরেশনের) টাকা-পয়সা কম। কর্পোরেশনের এক টাকাও অপচয় হতে দেবো না। কাজ করতে হবে। কাজের মন-মানসিকতা না থাকার কারণে দুইজনকে চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। দুইজন নেতাকেও বের করে দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আমরা অনেক কমিটমেন্ট করেছি। আপনারা সমর্থন দিয়েছেন বলেই আমরা জনপ্রতিনিধি। তাই আমাদের কমিটমেন্টগুলো পূরণে আমরা বদ্ধপরিকর।’

ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম এনামুল হক।



মন্তব্য চালু নেই