মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র এক মাস আগে যশোরের পৌর মেয়র মারুফ সাময়িক বরখাস্ত

যশোর পৌরসভার মেয়র মারুফুল ইসলামকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত ২৪ নভেম্বর সাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন রবিবার যশোর পৌঁছায়।

তবে মেয়র মারুফুল ইসলাম দাবি করেছেন, যে সব অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন। রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার জন্যই মেয়াদ শেষের মাত্র এক মাস আগে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

প্রজ্ঞাপনে মেয়র মারুফের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে পৌরসভার দায়িত্ব পালনকালে সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে ক্ষমতার অপব্যবহার, যথাসময়ে পৌরকর নির্ধারণ না করে সরকারি আদেশ উপেক্ষা করে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে পৌরকর পূননির্ধারণ, পৌরকর ৩ কোটি ৩০ লাখ ৯৬ হাজার টাকা বকেয়া থাকা, প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও ১৬৫ জন কর্মচারী ও ৫১৬ জন পরিচ্ছন্ন কর্মি নিয়োগ, পৌরসভা কর্মচারী চাকুরী বিধিমালার নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া, মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষককে আর্থিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি ভাবে এমপিওভুক্ত সুবিধার পাশাপাশি পৌরসভা হতে বাড়ি ভাড়া ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা প্রদান, ১৫ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকা সত্ত্বেও ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে এক কোটি ৬২ লাখ টাকার বিপরীতে বিধি বহির্ভুতভাবে সাড়ে ৫ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসব অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ৩১(১) ধারার বিধান অনুযায়ী সরকার যশোর পৌরসভার মেয়র মারুফুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। প্রজ্ঞাপনটিতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাক্ষর করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব (পৌর-১) খলিলুর রহমান।

এদিকে মারুফুল ইসলাম দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার জন্যই মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র এক মাস আগে তার বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।



মন্তব্য চালু নেই