মেয়ের জামাইর সাথে প্রেম করে বিয়ে করলো শ্বাশুড়ি

প্রেম নাকি অন্ধ হয়৷ সমাজ সংস্কারের বাঁধন মানে না৷ প্রমাণ মিলল বিহারের এক প্রত্যন্ত গ্রামে৷ নিজের মেয়ের স্বামীকেই প্রেম করে বিয়ে করলেন শাশুড়ি৷ নবদম্পতিকে ছাড়পত্র দিয়েছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতও৷

৪২ বছরের আশা দেবীর স্বামী থাকেন দিল্লিতে৷ ১৯ বছরের মেয়ে ললিতার সঙ্গে তিনিই দেখে শুনে সুরজের বিয়ে দেন৷ সব ঠিকই ছিল৷ কিন্তু, কিছুদিন বাদেই সুরজ অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ অসুস্থ জামাইকে দেখতে তাঁর বাড়িতেই থেকে যান আশা দেবী৷ সেই থেকেই দু’জনের প্রেমের সূত্রপাত৷

এরপর আশা দেবী নিজের বাড়িতে চলে এলেও ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতেন তাঁরা৷ সুরজ মাঝে মধ্যে আসতেনও আশা দেবীর সঙ্গে দেখা করতে৷ শ্বাশুড়ির সঙ্গে বিয়ে করার জন্য স্ত্রীয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে দেন সুরজ৷ দু’জনে স্থানীয় আদালতে গিয়ে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেন৷ সাক্ষ্য দেন আইনজীবীরাই৷

আশা দেবীকে বিয়ে করে সুরজ বাড়িতে নিয়ে এলে৷ দুই জনকে দেখে অজ্ঞান হয়ে যান ললিতা৷ খবর পেয়ে গ্রামে ফিরে এসেছিলেন আশাদেবীর স্বামীও৷ পঞ্চায়েতের দরবারে বিষয়টি নিয়ে যান তিনি৷ কিন্তু, পঞ্চায়েত রায় দেয় নবদম্পতির পক্ষেই৷ শেষ পর্যন্ত মেয়েকে নিয়ে দিল্লি চলে যান আশাদেবীর স্বামী৷-সংবাদ প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই