মেয়ের ফোন ব্যবহার করায় বাবাকে কারাদণ্ড!

মেয়ের মোবাইলে কড়া ভাষায় আসা এক বার্তা দেখে আতঙ্কিত হয়েছিলেন বাবা রোনাল্ড জ্যাকসন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরের ঘটনা এটি। ভেবেছিলেন ১২ বছরের মেয়ের পক্ষে এটি পীড়াদায়ক হবে। সেজন্য মেয়ের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়েছিলেন।

বাবার এই আচরণ মেনে নিতে পারেননি শিশুটির মা মিশেল স্টেপপি। স্টেপপি চুপ করে বসেও থাকেননি প্রতিবাদ জানাতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

বছর খানেক আগে জ্যাকসন এবং স্টেপপির বিচ্ছেদ হয়েছে। টেক্সাস পুলিশ কর্মকর্তা গ্রান্ড প্রাইরিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন স্টেপপি।

পুলিশ এসে জ্যাকসনের দরজায় কড়া নাড়ে এবং ফোন ফেরত চায়। জ্যাকসন ফোন দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তিনি আশা করেন যে, পুলিশ হয়তো তাদের বাবা-মেয়ের মধ্যে হস্তক্ষেপ করবে না।

কিন্তু স্টেপপি ক্রমাগত জ্যাকসনকে মোবাইলের জন্য চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে সাবেক স্বামী জ্যাকসনের বিরুদ্ধে সম্পদ চুরি এবং আত্মসাতের অভিযোগ আনেন স্টেপপি। এরপর বাধ্য হয়ে আইনি লড়াইয়ে নামেন জ্যাকসনও।

প্রায় দুবছর পর ২০১৫ সালের এপ্রিলে সাবেক স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাতকড়া পরিয়ে জেলে পাঠান হয় জ্যাকসনকে।

জ্যাকসন বলেন, ‘আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, শুধুমাত্র একটি মোবাইল ফোনের জন্য এমনটি করা হয়নি। এর পেছনে আরও কারণ আছে।’

এক রাত কারাবাস করে দেড় হাজার ডলার জামিনে মুক্তি পান জ্যাকসন।

দুদিন ধরে চলা বিচারে অবশেষে মেয়ের কথার ভিত্তিতে নির্দোশ প্রমাণিত হন তিনি জ্যাকসন। তার মেয়ের বয়স এখন ১৫।

আদালতে জ্যাকসনের মেয়ে বলেন, ‘শুধুমাত্র নিজের অর্থ দিয়ে কিনলেই নিজের হয়ে যায় না। কেউ কেউ যে কোন সময়ে তোমার জিনিস নিতে পারে।’



মন্তব্য চালু নেই