মোদির অগ্নিপরীক্ষার দিন ঘোষণা : মাঠে থাকবেন মমতাও

নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জুটি বিহারে পারেননি। দিল্লিতেও ব্যর্থ। তাই লোকসভাতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েও বিভিন্ন সময়ে সংসদে অনেক বিল পাশ করাতে বেগ পেতে হয়েছে মোদি সরকারকে। রাজ্যসভাতে এখনও সংখ্যালঘু বিজেপি। তবু থেমে থাকেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। খবর এবেলার।

সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হোক বা নোটবাতিল— সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হননি তিনি। সাম্প্রতিক নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ চাপে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তার বিরুদ্ধে বিরোধীরা একজোট হয়েছেন। সাধারণ মানুষের খুব হয়রানিও হয়েছে। সে কথা মেনে নিয়েছেন মোদি স্বয়ং।

এবার সামনে উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাব। সঙ্গে উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুর। এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনই নরেন্দ্র মোদির কাছে অগ্নিপরীক্ষা। সেই পরীক্ষার দিন ঘোষণা করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নসীম জৈদী জানিয়ে দেন:

• উত্তরপ্রদেশে ৭ দফায় নির্বাচন হবে। প্রথম দফা ১১ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় দফা ১৫ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় দফা ১৯ ফেব্রুয়ারি, চতুর্থ দফা ২৩ ফেব্রুয়ারি, পঞ্চম দফা ২৭ ফেব্রুয়ারি, ষষ্ঠ দফা ৪ মার্চ এবং সপ্তম দফা ৮ মার্চ।

• পাঞ্জাবে ভোটগ্রহন করা হবে ৪ ফেব্রুয়ারি।

• মণিপুরে ৪ মার্চ ও ৮ মার্চ ভোট হবে।

• উত্তরাখণ্ডে ভোট ১৫ ফেব্রুয়ারি।

• গোয়ায় ৪ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হবে।

এই নির্বাচনে এক ঢিলে অনেক পাখি মারার সুযোগ পাবেন মোদি। নোটবাতিলের পর কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচন জিতলেও, উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাব নির্বাচনে জিতে নিতে পারলে মোদি প্রমাণ দিয়ে বলতে পারবেন, নোটবাতিলের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন রয়েছে। জাতীয় রাজনীতিতে উত্তরপ্রদেশের গুরুত্ব বরাবরই বেশি।

ভারতের এই বড় রাজ্যে জয় আসলে, রাজ্যসভাতেও আসন বাড়বে বিজেপির। আরও শক্তিশালী হবে মোদি সরকারের হাত। নিজের দলের মধ্যেও কিছুটা হলেও চাপে আছেন মোদি-অমিত শাহ জুটি। এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভাল ফল করা মানে, দলের মধ্যেও এই জুটির ক্ষমতা নিয়ে আর কেউ প্রশ্ন তোলার সাহস পাবে না।

এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে এখন একমাত্র গোয়াতে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। পাঞ্জাবে শিরোমনি অকালি দলের সঙ্গে বিজেপি জোট সরকারে রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় সমাজবাদী পার্টি।

উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ কংগ্রেসের হাত ধরে লড়লেও, নিজের পারিবারিক বিবাদ কতটা সামলে বিজেপিকে কতটা কঠিন যুদ্ধের সামনে দাঁড় করাতে পারেন সেটাই দেখার। মোদিকে সামলাতে হবে মায়াবতী ও উত্তরপ্রদেশের জাত-পাতের সমীকরণও। কাজেই মোদির জয় পাওয়া অতটা সহজ কাজ নাও হতে পারে।

মণিপুরেও মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়তে হবে মোদীর দলকে। এই মুহূর্তে মণিপুরে কোনও বিধায়ক নেই বিজেপির। গোয়া ও পাঞ্জাবে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি থাকবে লড়াইয়ে। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডে বিজেপির মুখোমুখি লড়াই হবে কংগ্রেসের সঙ্গে। ২০১৭ সালে মোদির এই অগ্নিপরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে ১১ মার্চ।



মন্তব্য চালু নেই