মোবাইল ফোনে গেম খেলার এই ৮টি আশ্চর্য উপকারিতার কথা জানলে চমকে যাবেন…

ছেলেমেয়েরা সারাক্ষণ চোখের সামনে মোবাইল ধরে গেম খেলায় ব্যস্ত থাকলে চিন্তিত বোধ করেন অনেক বাবা-মাই। কারণ তাঁদের ধারণা, ভিডিও গেম খেলা মানে নিছকই সময় নষ্ট। সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করতে এখানে রইল মোবাইলে গেম খেলার ৮টি উপকারিতার কথা, যেগুলি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে—

মোবাইল ফোনে গেম খেলতে ভালবাসেন অনেকেই। অনেকের কাছেই এই ভালবাসা প্রায় নেশার আকার নিয়েছে। কিন্তু ছেলেমেয়েরা সারাক্ষণ চোখের সামনে মোবাইল ধরে গেম খেলায় ব্যস্ত থাকলে চিন্তিত বোধ করেন অনেক বাবা-মাই। কারণ তাঁদের ধারণা, ভিডিও গেম খেলা মানে নিছকই সময় নষ্ট। সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করতে এখানে রইল মোবাইলে গেম খেলার ৮টি উপকারিতার কথা, যেগুলি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে—

১. কোনও শারীরিক কষ্ট বা অস্বস্তি থেকে মনকে বিক্ষিপ্ত করতে সাহায্য করে মোবাইল গেম। অনেক আধুনিক হাসপাতালেই কোনও আঘাত বা রোগের কারণে যন্ত্রণা ভোগ করছে যেসব শিশু, তাদের মোবাইল গেম খেলতে দেওয়া হয়। গেম খেলতে গেলে সেদিকেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে হয়। ফলে শারীরিক কষ্ট কম অনুভূত হয়।

২. অনেক মানুষই অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিজঅর্ডার নামের এক মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এঁরা কোনও কাজে সম্পূর্ণ মনোযোগ প্রদান করতে পারেন না। এঁরা মোবাইলে গেম খেললে মনোযোগের অভাবের এই সমস্যা দূরীভূত হয়।

৩. আধুন‌িক চিকিৎসাব্যবস্থায় অনেক সময় ফিজিওথেরাপির কাজেও ব্যবহার করা হয় মোবাইল গেমকে। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শারীরিক আঘাতের কারণে যাঁরা হাঁটাচলায় অসুবিধা বোধ করছেন তাঁরা নিয়মিত ভিডিও গেম খেললে এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পান।

৪. নিয়মিত ভিডিও গেম খেললে মস্তিস্ক ও হাতের যথাযথ সমন্বয়ের (হ্যান্ড আই কোঅর্ডিনেশন) উন্নতি ঘটে। ফলত যে কোনও কৌশল রপ্ত করা সহজ হয়।

৫. গেম খেললে দলবদ্ধভাবে কাজ করার মানসিকতা এবং সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

৬. অনেক গেমই ভাষাগত ও গাণিতিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রভূত সাহায্য করে।

৭. আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ভিডিও গেম।

৮. সমস্যা সমাধান, অনুপ্রেরণা অর্জন, জ্ঞানমূলক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ভিডিও গেমস।



মন্তব্য চালু নেই