মৌলভীবাজার সদরের এগিয়ে রয়েছেন সতন্ত্র প্রার্থীরা

মাহমুদ এইচ খান, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : আগামী ৪ জুন অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার সদরের ১১নং মোস্তফাপুর ও ১২নং গিয়াস নগর ইউনিয়নে ভোটের মাঠে এগিয়ে রয়েছেন সতন্ত্র প্রার্থীরা। দলীয় পরিচয়ের উর্ধে তাদের ব্যক্তিত্ব প্রভাব ফেলছে সর্বমহলে।বিভিন্ন দলের অভ্যন্তরিন কোন্দল থাকায় সাধারন ভোটাররা দ্বিদাদন্ধ থেকে বেরিয়ে আসতে না পেরে ভিড়ছেন সতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে। সব মিলিয়ে বিজয় নিয়ে আশাবাদী এই দুই ইউনিয়নের সতন্ত্র প্রার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায় ১১ নং মোস্তফাপুর ইউন্য়িনের সতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা তাজুল ইসলাম তাজ একক জনপ্রিয়তা নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন নিরব প্রচারনা।মনোয়ন দাখিলের তারিখ থেকে সর্বস্ত্ররের জনসাধারন মুখ্য প্রতিক হয়ে আছেন তিনি নিজেই। গ্রামের প্রত্যেক উঠান বৈঠক থেকে শুরু করে একই সুর বইছে তাজুল ইসলাম তাজের পক্ষে। প্রতিক বরাদ্ধের আগে এমন জনসমর্থনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে জনমনে যেমন তেমনি হতাশ করেছে অন্যান্য প্রতিদ্বান্ধি প্রার্থীদেরকে। তবে প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে লড়াইয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে জনসমর্থন আদায়ে ব্যস্ত রয়েছেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ রুমেল আহমদ। অপর দিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সৈয়দ ফয়সল আহমদ বিএনপির দুর্ঘ খ্যাত এই ইউপির ভোটারের মন জয়ে মরিয়া হয়ে লড়লেও দলীয় কোন্দলের কারণে ও ভোটের মাঠে নবীন হওয়ায় তার তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন অন্য প্রার্থীরা।

এদিকে ১২ নং গিয়াস নগর ইউনিয়নে একই ভাবে এগিয়ে আছেন সতন্ত্র প্রার্থীরা। এই ইউনিয়নে চার জন সতন্ত্র প্রার্থী থাকায় বিভিন্ন দলের বেশির ভাগ নিজস্ব ভোটও ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় চিন্তিত রয়েছেন দলীয় প্রার্থীরা। নির্বাচনে মুল লড়াই সতন্ত্রদের মধ্যে হওয়ার সমভাবনা থাকলেও লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছেন সতন্ত্র প্রার্থী জিলা মিয়া। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মনর মিয়ার বড় ছেলে হিসেবে তার প্রার্থীতার বিষয়ে রয়েছে সর্বসাধারনের আস্থা। বিগত সময়ে বাবার উন্নয়ন কর্মকান্ড তার নির্বাচনে সহায়ক ভূমিকা রাখলেও একজন সৎ ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় তার রয়েছে অসাধারন ব্যক্তিত্ব তাই সর্বক্ষেত্রে মানুষ ভিড়ছেন তার দিকে।

অন্যদিকে বাবার কৃতিত্বকে পুঁজি করে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে লড়ছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আপ্তাব মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় না থাকলেও একসময় ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। এর বাহিরে অন্য দুই সতন্ত্র প্রার্থী তিন তিনবারের মেম্বার রানু মিয়া ও সাজ্জাদ আহমদ সুইট জনসমর্থন আদায়ে রয়েছেন ব্যাপক কর্মচঞ্চল।দলের ব্যানারে নির্বাচন করছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযুদ্ধা সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ও বিএনপির প্রার্থী সাবেক জেলা বিএনপির পরিবেশ ও বন বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক চেয়ারম্যান জমসেদ মিয়া।



মন্তব্য চালু নেই