যাত্রীসেবা নিশ্চিতে সর্বশক্তি প্রয়োগ : রেলমন্ত্রী

যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে এবার সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।

তিনি জানান, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে সে জন্য রেলের যত লোকবল আছে সবাইকে কাজে লাগানো হয়েছে। এই জন্য কোনো স্টাফ এবং ট্রেনের অফডে নেই।

বৃহস্পতিবার সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে যাত্রীদের খোঁজখবর নিতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিবছর যাত্রীরা শিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, ‘এবার শিডিউল বিপর্যয় যাতে না ঘটে সে জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। তবে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক যাত্রীদের জন্য কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিতেই পারে। কারণ, তাদের স্টেশনে আসতে দেরি হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদেরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘অতীত অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের সীমিত সক্ষমতা দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করব। ভবিষ্যতে আরো ২৭০টি বগি রেলবহরে যোগ করা হবে। আরো নতুন ইঞ্জিন আনা হবে।’

তিনি জানান, এবার সংরক্ষিত টিকিট থাকবে মোট ৩৫ শতাংশ। এর মধ্যে ভিআইপিদের জন্য ৫ শতাংশ, স্টাফদের জন্য ৫ শতাংশ এবং ই-টিকিটিং ২৫ শতাংশ। আর ফিরতি টিকিট বিক্রি করা হবে ২০ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত।

উন্নত যাত্রীসেবায় আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহণ করা হয়ে থাকে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই জন্য যাত্রীদের অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি এবং যেকোনো প্রকার নাশকতা থেকে নিরাপত্তা দিতে র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।’

রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘সব ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয় না। যে সমস্ত ট্রেন অনেক দূরে যায় সেগুলোর শিডিউল বিপর্যয় হয়। তবে অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আমরা কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। যাতে শিডিউল বিপর্যয় না ঘটে। কোনো ট্রেনকে কোথাও বসিয়ে রাখা হবে না।’

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা দিতে র‌্যাব তৎপর রয়েছে। যাত্রীরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন সে জন্য সকল প্রকার নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এই জন্য ট্রেন, বাস এবং লঞ্চের প্রধান প্রধান স্টেশনে অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। এ ছাড়া মাওয়াতে র‌্যাবের দুটি ক্যাম্প খোলা হয়েছে এবং নদীর ওপারেও দুটি ক্যাম্প খোলা হয়েছে। যাতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ না ছাড়তে পারে।’



মন্তব্য চালু নেই