যানবাহনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ, দুর্ভোগ

দেশের প্রায় ছয় শতাধিক রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় কোনো ধরনের যানবাহন গ্যাস নিতে পারছে না। গ্যাস না পেয়ে ব্যক্তিগত যানসহ অনেক গণপরিবহন রাস্তায় নামতে পারছে না। এতে সব শ্রেণির মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য সারাদেশের ৫৭০টি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এমনিতে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকে।

সারা দেশে ৫৭০টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। এসব স্টেশনে মোট গ্যাস সরবরাহের মাত্র ৫ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ হয়ে থাকে।

এদিকে গ্যাস সরবাহ বন্ধ থাকার খবরে শুক্রবার সন্ধ্যার পর মথেকেই যানবাহনগুলো সিএনজি সংগ্রহের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় জমায়। ঈদের ছুটির মধ্যেও স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ লাইন দেখা যায় সিএনজিচালিত যানবাহনের। শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে থেকেও অনেকে গ্যাস নিতে না পারায় বিকল্প জ্বালানি হিসেবে অনেক যানবাহন ডিজেল পেট্রোল সংগ্রহ করেছে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন,পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিএনজি স্টেশনগুলো ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ দিন সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। এ বিষয়ে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন সড়কমন্ত্রী।

এরপরই গত ২২ সেপ্টেম্বর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন বন্ধ থাকবে। এ কারণে দেশের সকল সিএনজি স্টেশনে ঈদের দিন শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে পরদিন শনিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এই ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

ঈদের ছুটিতে দেশের তিনটি গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা, বাঙ্গুরা ও সিলেট বন্ধ থাকার ফলে গ্যাসের সরবরাহ নেমে এসেছে অর্ধেকে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সিএনজি স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস ক্ষেত্র। দেশের উৎপাদিত মোট গ্যাসের প্রায় ৪৫ শতাংশই আসে এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে।



মন্তব্য চালু নেই