যারা আছেন বিপিএলের সেরা বিদেশি একাদশে…

এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যাটে-বলে দেশি খেলোয়াড়েরা অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন।

তবে, বিদেলি খেলোয়াড়েরাও কম যান নি। তারাও নিজেদের মতো করেই বিপিএল মাতিয়েছেন। আর এবারের বিপিএল মাতানো সকল বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে সেরা বিদেশি একাদশ নির্বাচন করেছে প্রিয় স্পোর্টস।

চলুন দেখে নেয়া যাক সেরা বিদেশি একাদশ:

১. ক্রিস গেইল-ওয়েস্ট ইন্ডিজ:

৪ ম্যাচ, ১৩৯ রান, ব্যাটিং গড় ৪৬.৩৩, স্ট্রাইক রেট ১৬৩.৫২।

২. তিলকারত্নে দিলশান-শ্রীলঙ্কা:

১০ ম্যাচ, ২৬০ রান, ব্যাটিং গড় ২৮.৮৮, স্ট্রাইক রেট ১৩৩.৩৩।

৩. লেন্ডল সিমন্স-ওয়েস্ট ইন্ডিজ:

১০ ম্যাচ, ২২১ রান, ব্যাটিং গড় ২২.১০, স্ট্রাইক রেট ১০২.৭৯।

৪. কুমার সাঙ্গাকারা-শ্রীলঙ্কা (অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক):

১০ ম্যাচ, ৩৪৯ রান, ব্যাটিং গড় ৩৮.৭৭, স্ট্রাইক রেট ১১৭.১১; ১৩ টি ডিসমিসাল।

৫. আহমেদ শেহজাদ-পাকিস্তান:

৭ ম্যাচ, ২০৪ রান, ব্যাটিং গড় ৩৪.০০, স্ট্রাইক রেট ১১০.৮৬।

৬. আসহার জাইদি-পাকিস্তান/ইংল্যান্ড:

১১ ম্যাচ, ২১৫ রান, ১৭ উইকেট, ব্যাটিং গড় ৫৩.৭৫, বোলিং গড় ১০.৪১।

৭. রবি বোপারা-ইংল্যান্ড:

৯ ম্যাচ, ১৩২ রান, ১০ উইকেট, ব্যাটিং গড় ১৬.৫০, বোলিং গড় ১৪.৪০।

৮. শহীদ আফ্রিদি-পাকিস্তান (সহ অধিনায়ক):

৫ ম্যাচ, ৮৭ রান, ৩ উইকেট, ব্যাটিং গড় ২৯.০০, বোলিং গড় ২৫.৬৬।

৯. থিসারা পেরেরা-শ্রীলঙ্কা:

১২ ম্যাচ, ১৫৫ রান, ১৮ উইকেট, ব্যাটিং গড় ১৭.২২, বোলিং গড় ১৩.৬১।

১০. মোহাম্মদ আমির-পাকিস্তান:

৯ ম্যাচ, ১৪ উইকেট, বোলিং গড় ১২.৬৪, ইকোনমি ৫.৫৬

১১. কেভন কুপার-ওয়েস্ট ইন্ডিজ:

৯ ম্যাচ, ২২ উইকেট, বোলিং গড় ৯.৩১, ইকোনমি ৫.৮৫

দ্বাদশ খেলোয়াড়: দিলশান মুনাবীরা-শ্রীলঙ্কা

৮ ম্যাচে ১৭৩ রান, গড়: ২১.৬২, স্ট্রাইক রেট: ১৩৪.১

জানিয়ে রাখা ভাল, এই একাদশ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন স্যামি, মারলন স্যামুয়েলস, এভিন লুইস, রায়াদ এমরিট, জিম্বাবুয়ের ম্যালকম ওয়ালার, শ্রীলঙ্কার নুয়ান কুলাসেকারাকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছিল। নেতৃত্বের গুণ বিবেচনায় অধিনায়ক করা হয়েছে শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক ও ঢাকা ডাইনামাইটসকে নেতৃত্ব দেয়া কুমার সাঙ্গাকারাকে। উইকেটরক্ষকের দায়িত্বও তিনি পালন করবেন।

তবে, বিশেষ বিবেচনায় চাইলে সিলেট সুপার স্টার্স ও পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিকেও নেতার দায়িত্ব দিয়ে দেয়া যায়। আর অনেক চেষ্টা করেও ব্যাক-আপ উইকেটরক্ষক হিসেবে কাউকে রাখা সম্ভব হয়নি। তবে, ‘মহাবিপদ’-এ শ্রীলঙ্কার তিলকারত্নে দিলশানকে উইকেটরক্ষক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই