যা থাকছে আফ্রিদির আত্মজীবনীতে

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১ হাজার রান; ৫০০’র বেশি উইকেট। কিংবদন্তি অলরাউন্ডার বলতে যা বোঝায় শহিদ আফ্রিদি সেটিই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর অনেক ক্রিকেটারই আত্মজীবনী লিখেছেন। এবার সেই পথে হাঁটছেন পাকিস্তানের এই ড্যাশিং অলরাউন্ডারও। আগামী মাসে ‘শহিদ আফ্রিদি: এন অটোবায়োগ্রাফি’ নামক আত্মজীবনী প্রকাশ করবেন তিনি। আফ্রিদি ও পাকিস্তানের জনপ্রিয় সাংবাদিক ওয়াজাহাত এস খান মিলে আত্মজীবনী রচনার কাজ করছেন।

নিজের আত্মজীবনীতে আফ্রিদি ক্রিকেট ক্যারিয়ারের না বলা কথা তুলে ধরবেন। বিশেষ করে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শত্রুতা ও বন্ধুত্ব নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। সেইসঙ্গে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অর্জন, প্রাপ্তি, অতৃপ্তি নিয়ে আলোকপাত করা হবে বলেও জানান আফ্রিদি।

১৯৯৬ সালে মাত্র ১৬ বছর নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমবারের মতো ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন আফ্রিদি। প্রায় ১৯ বছর সেই রেকর্ড অক্ষত থাকে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলার পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি আফ্রিদি। ব্যাট নিয়মিত না হাসলেও কার্যকরী স্পিন দিয়ে পাকিস্তানের ওয়ানডে দলের অপরিহার্য সদস্যে পরিণত হন এই ড্যাশিং ক্রিকেটার।

২০১৫ বিশ্বকাপ শেষেই ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানান আফ্রিদি। থিতু হতে না পারায় টেস্টকে বিদায় জানিয়েছিলেন ২০১০ সালেই। টি-টুয়েন্টিকে বিদায় না জানালেও পাকিস্তান দলে জায়গা করে নেয়ার স্বপ্ন অনেকটাই মলিন এই পাক অলরাউন্ডারের। ফলে অঘোষিতভাবেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ আফ্রিদির।

পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের আত্মজীবনীর বিষয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘ক্রিকেট জীবনে আমি শত শত সাক্ষাৎকার এবং অসংখ্যবার টিভি শো-তে অংশ নিয়েছি। কিন্তু আমার আত্মজীবনীতে আপনারা এমন কিছু গল্প বা ভাবনার কথা পড়বেন যেগুলো আমি কখনোই প্রকাশ্যে বলিনি। আমার অনেক কথাই বলার রয়েছে। আমার আত্মবিশ্বাস, আমার ভয়, আমার প্রতিপক্ষ-শত্রু, আমার উচ্চাকাঙ্ক্ষা, আমার লক্ষ্য এবং ব্যর্থতা নিয়ে অনেক কথা বলার রয়েছে।’

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকবার আলোচনার জন্ম দিয়েছেন আফ্রিদি; এমনকি বিতর্কেও কম জড়াননি তিনি। নিজের আত্মজীবনীতে সেনাবাহিনী ও রাজনীতি নিয়েও তিনি কথা বলবেন বলে জানান।

এই বিষয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘আত্মজীবনীতে আমি আমার শত্রু এবং বন্ধুদের নিয়ে আলোচনা করবো; বিশেষ করে ভারতে যারা রয়েছে। সেইসঙ্গে সেনাবাহিনীর প্রতি মোহাচ্ছন্নতা এবং আমার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিয়েও কথা বলবো। পুরো কাজটি শেষ হতে অনেক সময় লাগবে। কিন্তু আমি জনপ্রিয় গল্পলেখক ও সাংবাদিক ওয়াজাহাত ভাইয়ের সঙ্গে লেখনীতে যোগ দিতে পেরে গর্বিত। আমাকে আত্মজীবনী প্রকাশের সুযোগ করে দেয়ায় প্রকাশককেও অসংখ্য ধন্যবাদ।’

পাকিস্তানের হয়ে ১৯ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ৩৯৮টি ওয়ানডেতে ৩৯৫ উইকেট নেন আফ্রিদি। ওয়ানডেতে তার চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন মাত্র চারজন বোলার। অন্যদিকে ৬টি সেঞ্চুরি ও ৩৯টি হাফসেঞ্চুরির সাহায্যে ৮,০৬৪ রান করেন এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান। ওয়ানডেতে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩৫১টি ছক্কার মালিক আফ্রিদি টেস্টে ১৭১৬ ও টি-টুয়েন্টিতে ১৪০৫ রান করেন। টি-টুয়েন্টিতে ৯৭ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি টেস্টে তিনি উইকেট নেন ৪৮টি।



মন্তব্য চালু নেই