‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিএনপি’

ভারতের ওপর হতাশ হয়ে বিএনপি এখন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার ধানমন্ডির প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি বিরোধী দল হিসেবে কার্যক্রর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ। তারা আজকে হতাশ। তারা ভারতের ওপর হতাশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ওপর তাকিয়ে আছে। নির্বাচনে কে জয়লাভ করে তাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই। শেখ হাসিনার সরকারের সব কর্মকাণ্ড হচ্ছে এ দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে পরিচালিত।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এখন প্রকাশ্য কোনো শত্রু নেই। তবে গোপন শত্রু রয়েছে। সম্মেলনের সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জার মধ্যে এটা মনে করার কারণ নেই আমাদের গোপন শত্রুরা চুপচাপ বসে আছে। আমাদের সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের যে শত্রুটা যেটা গোপনীয়তা থেকে প্রকাশ্যে এসেছে। তবে তাদের গোপন তৎপরতা বন্ধ হয়ে গেছে এটাও মনে করার কারণ নেই। কাজেই সম্মেলনকে সামনে রেখে গোপন শত্রুদের ব্যপারে সর্তক থাকতে হবে। আমাদের এ বর্ণাঢ্য সম্মেলন সুন্দরভাবে শেষ হোক এটা কি তারা চাইবে? তাই আমি সবাইকে বলবো এ গোপন শত্রু ও সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে এবং তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।’

১২ অক্টোবরের মধ্যে দলের ব্যানার ও বিলবোর্ড ছাড়া বাকিগুলো নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সম্মেলনসংক্রান্ত তোরণ, দেয়াল লেখা, পোস্টার বিলবোর্ড ও ব্যানারে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য এবং প্রয়াত জাতীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়া অন্য কারও ছবি ব্যবহার করা যাবে না।’ বঙ্গবন্ধুর পরিবার নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই পরিবার তো আগুন যোগ্যতায়, উৎকর্ষে। তাঁরা প্রত্যেকে সুপ্রতিষ্ঠিত। কাজেই তাঁরা আমাদের আদর্শ হতে পারেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সম্মেলন উপলক্ষে শৃঙ্খলা ভঙ্গে অভিযুক্ত অনেককে নেত্রী ক্ষমা করেছেন। কিন্তু এটাকে স্থায়ী ক্ষমা মনে করার কারণ নেই। ক্ষমা করেছেন যেন আপনি ওই শৃঙ্খলাভঙ্গের পুনরাবৃত্তি না ঘটান। আর এই মুহূর্তে কেউ যদি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন, তাহলে তাকে কিন্তু শাস্তি পেতে হবে। দল করলে দলের নিয়ম মানতে হবে।’

মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য ও মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির সদস্যসচিব মির্জা আজম, এনামুল হক শামীম, এসএম কামাল হোসেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আলাউদ্দিন নাছিম, বাহাদুর বেপারী, লিয়াকত শিকদার, নজরুল ইসলাম বাবু, মাহমুদুল হাসান রিপন, এইচ এম বদিউজ্জান সোহাগ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই