যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাস গড়লেন বুরকিনি পরা মুসলিম তরুণী

যে বুরকিনি নিষিদ্ধ করা নিয়ে ফ্রান্সে তোলপাড় হলো তা পরেই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন এক মুসলিম তরুণী। তাও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে। এই প্রতিযোগীর নাম হালিমা আদেন। তিনি সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিনি। সুন্দরী প্রতিযোগিতা বলতেই চোখের সামনে যেমন ভেসে ওঠে স্বল্প বসনা তরুণী বা যুবতী, হালিমা তেমন নন।

তিনি ছিলেন বুরকিনি পরা। সঙ্গে হিজাব। পুরো শরীর ঢাকা। এভাবেই তিনি মিস মিনেসোটা ইউএসএ সেমিফাইলালিস্ট হিসেবে প্রথম হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমা দেশে তিনি এক নতুন ইতিহাস গড়লেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়েছে, ইসলামী বিধান কঠোরভাবে মেনেছেন হালিমা। দু’দিনের এ প্রতিযোগিতায় একটি বারের জন্যও তিনি মুখ বাদে শরীরের অন্য অংশ প্রদর্শন করেন নি।

হালিমা বলেছেন, পোশাকে পুরো শরীর ঢেকে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব শেষে তিনি একটি বিবৃতি দিতে চান। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, তাকে ভিন্নভাবে দেখা হবে। কিন্তু সবাই তাকে মেনে নিয়েছেন। তাই প্রতিযোগিতার বাথিং স্যুট রাউন্ডেও তিনি ছিলেন বুরকিনি পরা। মাথায় ছিল হিজাব। ইসলাম সম্পর্কে যে ভুল ধারণা আছে তা দূর করার একটি সুযোগ হিসেবে তিনি এ প্রতিযোগিতাকে ব্যবহার করছেন।

সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন সম্প্রদায়ের মধ্যে হালিমা এবারই প্রথম ইতিহাস গড়লেন না। এর আগে তিনি তার কলেজে ছাত্রছাত্রীদের গভর্নমেন্টবিষয়ক সংস্থায় প্রথম সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার স্কুলে ‘ঘরে ফেরা রাণী’ হিসেবে তাকে মুকুট পরানো হয়েছে। তবে সবক্ষেত্রের মতো তার এ প্রতিযোগিতা নিয়ে বিরোধিতা আছে। চূড়ান্ত পর্বে তিনি বিজয়ী হতে চান।

তার মধ্য দিয়ে তিনি সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিনিদের একীভূত করতে চান। খুলে দিতে চান সবার চোখ। নারীদের মধ্যে যেহেতু বিবর্তন হচ্ছে তাই দ্য মিস ইউএসএ সংগঠন বলেছে তারাও বিবর্তিত হচ্ছে। বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষ এ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আসায় তারাও গর্বিত। এমজমিন



মন্তব্য চালু নেই