যুক্তরাষ্ট্রে যৌনমিলনের মাধ্যমে জিকা সংক্রমিত রোগীর সন্ধান

যুক্তরাষ্ট্রে যৌনমিলনের মাধ্যমে জিকা ভাইরাসে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। কর্মকর্তাদের দাবি, দেশটিতে প্রথমবারের মতো এ ধরনের ঘটনা ঘটল।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) জানিয়েছে, টেক্সাসের ডালাসে এক রোগীর দেহে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যৌনমিলনের মাধ্যমেই তার দেহে এটি সংক্রমিত হয়েছে। ওই ব্যক্তি অবশ্য জিকা ভাইরাস উপদ্রুত দেশগুলোতে যাননি। তবে তার সঙ্গিনী সম্প্রতি ভেনিজুয়েলা থেকে আমেরিকায় এসেছেন। ওই ব্যক্তি ও তার সঙ্গিনীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি কর্মকর্তারা।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জিকা উপদ্রুত এলাকা থেকে ফিরে আসার পর হস্টন ও হ্যারিস জেলায় সাতজন এই ভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে টেক্সাসে এই প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল।

লাতিন আমেরিকার পর অন্যান্য অঞ্চলে জিকা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় সোমবার বিশ্বময় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) । গর্ভবতী মা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার অনাগত শিশুর মাথা স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হয়। মস্তিষ্কের গঠনও হয় অপূর্ণ। এ রোগকে বলে মাইক্রোসেফালি। এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা ওষুধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। গত কয়েক মাসে শুধু ব্রাজিলেই ছোট আকারের মস্তিষ্ক নিয়ে চার হাজারের বেশি শিশু জন্ম নিয়েছে। কলম্বিয়ায় ২ হাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত। এ পর্যন্ত বিশ্বের ২৩টি দেশে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ।



মন্তব্য চালু নেই