যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করতে সন্ত্রাস চালাচ্ছেন খালেদা

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করার জন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন খালেদা জিয়া। ৯২ দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে দেড় শতাধিক মানুষ হত্যা করেছেন তিনি। খালেদা জিয়ার এতো মানুষ হত্যা করেও রক্ত পিপাসা মেটেনি। তিনি রক্তপিপাসু ডইনির মতো হয়ে গেছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত জাতীয় শ্রমিক লীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টিআইবির প্রতিবেদনের সমালোচনা করে বলেন, তারা বলেছে সংসদ অকার্যকর। তারাতো বলবেই, কারণ সব ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য হয়েছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন ষড়যন্ত্র কোথা থেকে হচ্ছে। তারা ফর্মুলা দিয়েছে একটি নির্বাচন দিলে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নাকি সংসদ কার্যকর হবে। কিন্তু বিএনপি বিরোধী দল থাকাকালে অশালীন ভাষা ও খিস্তি খেউর ছাড়া কিছুই ছিল না। তাহলে টিআইবির মানদণ্ড কী? আমি টিআইবির কর্মকর্তাদের বলতে চাই, এটা তাদের মন্তব্য নয়। এটা তাদের প্রভুদের এজেন্ডা বাস্তবায়নেই এমন মন্তব্য কি না তা দেশবাসী জানতে চায়।

তিনি বলেন, সরকারকে ব্যর্থ করার জন্যই দুই বিদেশি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। আর বিদেশি বন্ধুরাও রেড এলার্ট জারি করলেন। আমি বলবো বাংলাদেশে কোনো আইএস ও জঙ্গি নেই। আমাদের ওপর জোর করে আইএস ও জঙ্গি ইস্যু চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তাভেলা সিজারের হত্যাকারী ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা জবানবন্দি দিয়েছে, তাতে উঠে এসেছে এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। দেশে যে ষড়যন্ত্র চলছে তার একটি প্রমাণ আশুরার রাতে তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা। এ বোমা হামলা ছিল শেখ হাসিনার সরকারকে বিভ্রান্ত করার জন্য।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, তিনি (নজরুল ইসলাম খান) বলেছেন আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। তাই আবার নতুন করে যুদ্ধে নেমেছি। নজরুল ইসলাম সাহেব, আমি আপনাকে জানিয়ে রাখি আপনার নেতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছেন। তাই আপনাদের নাম রাজাকারদের তালিকায় উঠে গেছে। আপনাদের বাংলাদেশে আর কোনো যুদ্ধে জয় লাভ করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, মানুষের স্বপ্ন পূরণে শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। এটা তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আজকে অনেকেই নাখোশ। নাখোশতো হওয়ারই কথা। এক সময় অনেক দেশ বাংলাদেশে রিলিফ পাঠাতো। বলতো ভিক্ষুকের দেশ। তারাতো নাখোশ হবেই।

জাতীয় শ্রমিক লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মো. সামসুল আলম বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই