যুদ্ধ নিয়ে বেশি বিপদে ভারতই

রাষ্ট্রীয় ভাবে সন্ত্রাস লালন -পালন করা দেশ পাকিস্তান। পাকিস্তান তার আকাশ ভাড়া( এর বিনিময়ে অর্থ পায় পাকিস্তান, পারভেজ মোশাররফ তার বইয়ে লিখেছেন) দিয়েছে আমেরিকাকে ।আকাশ ভাড়া নিয়ে ইচ্ছে মত ড্রোন হামলা করে পাকিস্তানিদের হত্যা করে আমেরিকা।

পাকিস্তান সরকার কথা বলার অধিকার রাখে না। একাত্তরে বাঙালিদের সঙ্গে যা করেছিল পাকিস্তান, এখন তাই করছে বেলুচদের সঙ্গে। বেলুচরা স্বাধীনতার সংগ্রাম করছে। দেশের বড় একটা অংশ তালেবানদের দখলে। ব্যবসা -বাণিজ্য, দেশ পরিচালনা -সব কিছুর নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী। বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নেই রাজনৈতিক নেতৃত্বের। এমন একটি হটকারী দেশের হাতে আছে পারমানবিক অস্ত্র।

ভারত একটি বড় গণতান্ত্রিক দেশ। সেনাবাহিনী নয়, রাষ্ট্র পরিচালনা করেন রাজনীতিবিদ এবং বেসামরিক আমলাতন্ত্র। কিন্তু ভারতীয় শাসকরা কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণ করছে সামরিক নীতিতে। সামরিক নিপীড়ন -নির্যাতনে কাশ্মীরিরা প্রচন্ড রকম ভাবে ভারত বিরোধী। পাকিস্তানের পৃষ্টপোষকতায় গড়ে উঠেছে বিদ্রোহী গ্রুপ। যারা চোরাগোপ্তা হামলা করে ভারতীয় সৈন্য হত্যা করে। বহু বছর ধরে একটা অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করে রেখেছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে। এর পেছনে পাকিস্তানি উস্কানি, সহায়তা তো আছেই, ভারতীয় শাসকদের ভুল নীতিও কম দায়ি নয়।

ভারত -পাকিস্তানের কাশ্মীর সীমান্ত সৌন্দর্যের দিক দিয়ে যতটা নয়নাভিরাম, তার চেয়েও অনেক বেশি দূর্গম। যারা সরাসরি না দেখেছেন, তাদের পক্ষে সৌন্দর্য এবং দূর্গম বিষয়ে বোঝা কঠিন। সেই সীমান্তে ভারত -পাকিস্তান উভয় দেশই নিজেদের বিজয়ী হিসেবে যে সব যুদ্ধের গল্প প্রচার করে তার অধিকাংশই সত্য থেকে অনেক দূরে, রঙ -চঙ লাগানো।

ভারতের মোদী সরকারের জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের নানা গল্প বলাটা জরুরি। দেশ পরিচালনায় নিজেদের গুরুত্ব ধরে রাখার স্বার্থে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর জন্যেও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের গল্প বলা জরুরি।

পাকিস্তানের দুই কান কাটা, পারমানবিক বোমা নিক্ষেপের মত হটকারী সিদ্ধান্ত নেয়া তার জন্যে অসম্ভব নয়। পাকিস্তানের হারানোর খুব বেশি কিছু নেই। কিন্তু ভারতের জন্যে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া প্রায় অসম্ভব। ভারতের হারানোর আছে অনেক কিছু। ভারতের পক্ষে সন্রাসী পাঠিয়ে, পাকিস্তানে আক্রমণ করানো সম্ভব নয়, পাকিস্তানের পক্ষে যা খুব সাধারণ ব্যাপার।

সামরিক -আর্থিক সব দিক দিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে ভারত অনেক এগিয়ে থাকলেও, শেষ বিচারে যুদ্ধ নিয়ে বেশি বিপদে ভারতই।

সামরিক -যুদ্ধবাজ শাসকদের জন্যে যুদ্ধ করাটা লাভজনক। পাকিস্তান এক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে। ফলে ভারত কোনোভাবেই যুদ্ধ চাইবে না এবং বড় যুদ্ধও বাধবে না।



মন্তব্য চালু নেই