যুবতী জোছনার প্রেম প্রতারণা!

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের একদল প্রতারক চক্রের মাধ্যমে জোছনা খাতুন নামের এক সুন্দরী যুবতী মোবাইল ফোনে অভিনব প্রেম বিনিময় করে যুবকদের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রতারক চক্রের মূল হোতা এরশাদ মিয়া (২৮) ও যুবতী জোছনা খাতুন (২৫) কে আটক এবং প্রতারণার শিকার মোশারফ হোসেন নামের এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সাদুল্যাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের কিশামত শেরপুর গ্রামের মোখলেছার আমিনের পুত্র এরশাদ মিয়া ও মতলুবর মিয়া এলাকার আরও কয়েক যুবক নিয়ে মোবাইল ফোনে প্রেম প্রতারণার সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। এই চক্রদের সঙ্গে আর্থিক চুক্তিতে ভুয়া প্রেমিকা হিসেবে কাজ করে আসছে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের রহিম উদ্দিনের সুন্দরী যুবতী কন্যা জোছনা খাতুন।

দীর্ঘদিন ধরে এরশাদ চক্রের ইশারা-ইঙ্গিতে জোসনা খাতুন ০১৭৫১০০৫১৭৩ নম্বর ফোনে অভিনব প্রেমের ফাঁদ তৈরি করেন। জোছনা খাতুন বিভিন্ন এলাকার যুবকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে প্রেমের সখ্য গড়ে তোলে।

এক পর্যায়ে যবুকদের এরশাদের বাড়িতে ডেকে আনে। পরে ভয়-ভীতি দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। এরই একপর্যায়ে গতকাল সকালে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বিরাহীমপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে মোশারফ হোসেনকে এরশাদের বাড়িতে ডেকে এনে নগদ ১৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে ঘরের মধ্যে বেঁধে রেখে ০১৭৯২৭৪১৮০০ নং বিকাশ নম্বরে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে প্রতারক চক্র। পরে সাদুল্যাপুর থানার এসআই রনি কুমার দাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এরশাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রেম প্রতারক চক্রের মূল হোতা এরশাদ মিয়া ও জোছনা খাতুনকে আটক ও প্রতারণার শিকার মোশারফ হোসেন নামের এক যুবককে উদ্ধার করেন। সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফরহাদ ইমরুল কায়েস জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই