যেকোনো ক্যানসারই প্রাথমিক পর্যায়ে রোধ করা সম্ভব

চিকিৎসাশাস্ত্রে দেশ এখন অনেক উন্নত হয়েছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘যেকোনো ক্যানসারই প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব। মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তন ও জরায়ু ক্যানসার বেশি হয়ে থাকে। এসব রোগের উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকদের স্মরণাপন্ন হওয়া জরুরি। এজন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।’

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্তন ক্যানসার সচেতনতা বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। সেমিনারের আয়োজন করে ফেন্ডস অব বাংলাদেশ ইউকে ও বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি।

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার মনে করে, দেশের প্রতিটি মানুষের চিকিৎসা সেবা পাওয়া একটি সাংবিধানিক অধিকার। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি দেশের বিত্তবানদের সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এগিয়ে আসা উচিৎ।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেডিও থেরাপি বিভাগের প্রধান ড. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘শিল্পোন্নত দেশগুলোতে মহিলাদের মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে স্তন ও জরায়ু ক্যানসার। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রতি বছর ১০ লাখ ৫০ হাজার নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। ২০১০ থেকে ২০১৪ সালে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে ২৬ শতাংশ নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছে। সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ভিয়েতনামে, ৩০ শতাংশ নারী। চীন ও ইন্দোনেশিয়ায় ১৭ শতাংশ এবং কম্বোডিয়ায় ১২ শতাংশ নারী এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।’

সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির পরিচালক প্রফেসর ড. এমএ হাই, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. গোলাম মোস্তফা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. ইসমাইল খান প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই