যেখানে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সাহস!

একটি সুন্দর ও উপভোগ্য ভ্রমণের জন্যে কী কী দরকার হয়? সঠিক পরিকল্পনা, যথেষ্ট অর্থ, ছোটখাটো কিছু কৌশল- এই তো? আরো অনেকের মতন আপনিও যদি এমনটাই ভেবে থাকেন তাহলে আপনি সামান্য পরিমান ভুলের ভেতরে আছেন। আজ আপনাকেই বলছি এমন পর্যটনস্থলগুলোর কথা, যেগুলোতে ঘুরে আসার জন্য আরো অনেক কিছুর সাথে আপনার দরকার পড়বে সাহসেরও। চলুন জেনে আসি পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এমন ভয়ংকর কিছু পর্যটনস্থলগুলো সম্পর্কে অজানা কিছু কথা-

সেরো নেগ্রো
নিকারাগুয়ায় অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরিটি গত ১০০ বছরে মোট ২৩ বার উদগীরণ করেছে। সামনে হয়তো আরো বেশি করতে পারে। প্রায়ই এটাকে কাঁপতে দেখা যায়। এর পাশের মানুষগুলোর উচিত তখন সেখান থেকে সরে যাওয়া। কিন্তু তারা সেটা তো করেই না, উল্টো পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত হয়েছে এই স্থানটি কেবল এই আগ্নেয়গিরিটির জন্য। হাজার হাজার মানুষ এখানে আসে নানারকম প্যাকেজ নিয়ে যেখানে তাদেরকে আগ্নেয়গিরি কাঁপবার সময়েই হেলিকপ্টার করে সেটার ওপর বসিয়ে দেওয়া হবে এবং পিছলে নীচে নেমে যাবে তারা। এখনও পর্যন্ত কোন প্রাণহানীর ঘটেনি এখানে। তবে যেকোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক বিপর্যয়।

বলিভিয়া
বাইকে করে ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছে কার না থাকে? নিজের ইচ্ছে মতন মাটিতে হাওয়ার বেগে উড়ে চলার এই অভিজ্ঞতা প্রায় সবাই নিতে চায়। বিশেষ করে বলিভিয়ায় ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরা। শুনতে আরো রোমাঞ্চকর লাগবে আপনার, যখন আপনি জানবেন যে এই রাস্তাটা পুরোটাই চলে গিয়েছে পাহাড়ের ওপর দিয়ে অনেকটা সরু হয়ে। পাহাড়ের ওপরে রাস্তা? তাও আবার সরু? শুনে অনেকেই হয়তো পেছাবেন খানিকটা। কিন্তু তারপরেও থেকে যান কিছু মানুষ যারা শেষ পর্যন্ত বাইকে ভ্রমণটা সেরেই ফেলেন। তাও আবার বলিভিয়ার সবচাইতে বিপদজনক রাস্তা ইউনগাসের ওপর দিয়েই। ৪০ থেকে ৫০ অব্দি গতিবেগ নিয়ে যান তারা। আর ফলাফল হিসেবে প্রতি বছর প্রায় ২০০ জন পর্যটককে নিজের কাছে টেনে নেয় ইউনগাসের নীচটা।

পুতুলের দ্বীপ
সভ্য জগত থেকে অনেক দূরে অবস্থিত এই দ্বীপটিতে আর কোনকিছু থেকে না হলেও হার্ট অ্যাটাক করে মারা যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে আপনার। কারণ? কারণটা আর কিছুই নয়, বরং এখান ওখান থেকে দ্বীপের বিভিন্ন অংশে ঝুলে থাকা নানা আকৃতির বিকৃত সব পুতুল। কে বা কারা এমনটা তৈরি করেছে সেটা নিশ্চিতভাবে না বলা গেলেও মেক্সিকোর এই ডল আইল্যান্ডে ভ্রমণে আসতে হলে আপনার যে প্রচুর পরিমাণ সাহসের দরকার পড়বে এটা নিশ্চিত।

অষ্ট্রেলিয়া
প্রচন্ড ক্ষুধার্ত কোন কুমিরের কাছে যাওয়ার কথা ভেবেছেন কখনো? শুধু ভাবনাই নয়, সেটাকে পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত করে ফেলে বর্তমানে অষ্ট্রেলিয়ার মানুষেরা। ১৫ মিনিটের জন্যে টাকা খরচ করে এক্ষেত্রে কেইজ অব ডেথ বা মৃত্যুর খাঁচাতে ঢুকে পড়ে তারা যেখানে তাদের মুখোমুখি হয় ভয়ংকর সব কুমির!



মন্তব্য চালু নেই