যেন কৃষি প্রযুক্তি গ্রাম!

যেন কৃষি প্রযুক্তি গ্রাম! ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল শহর থেকে উত্তরে মহাসড়কের দু’ধারে প্রায় ১০ কি.মি. এলাকায় কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে বৃক্ষ রোপনসহ গ্রাম গড়ে উঠছে। জেলার ৫টি উপজেলায় ৯৫টি ব্লক রয়েছে। ব্লক পর্যায়ে নিয়োজিত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ (এস,এ,এও) গণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে কৃষি সেবা নিশ্চত করা হয়ে থাকে। তেমনি রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের বনগাঁও ব্লকে দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার সাদেকুল ইসলাম কৃষি প্রযুক্তি গ্রাম গড়ার অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। এই এলাকায় কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার সন্ধারই গ্রামকে কৃষি প্রযুক্তি গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।

কৃষকদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে বসত বাড়ীর আশে পাশে ফাঁকা জায়গায় সবজির চাষ, রাস্তার ধারে বাড়ীর সামান্য জায়গাতে শিম, লাউ, মিষ্টি কুমড়া,লাল শাক, মুলা ও স্বল্প মেয়াদি ফল পেঁপে ও কলা চাষের পরামর্শ প্রদান করে।

p-1এছাড়াও কৃষকদের প্রতিদিনের পরিবারের উচ্ছিষ্টাংশ ময়লা আবর্জনা ও গোবর যত্রতত্র এলোমেলো ও খোলা জায়গায় না রেখে একটি গর্ত করে চার পাশে আইল দিয়ে উপরে টিন বা পলিথিনের চালা দিয়ে খামার জাত সার উৎপাদনের জন্য কৃষকদের বাড়ি বাড়ী গিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

তিনি পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষার্থে কৃষি প্রযুক্তিতে মহাসড়কের দু’ধারে ১’শ ৫০ টি দেশি নিম গাছের চারা ও ২’শ টি তালের বীজ রোপন করেছেন। তিনি কৃষি প্রযুক্তিতে আমন ধান চাষের বিভিন্ন কলা কৌশল প্রদর্শন করেন। বর্তমানে তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকায় কৃষকদের আমন ধানের কারেন্ট পোকার উপর সচেতনতা মুলক সভা ও উঠান বৈঠক করেন। সন্ধারই এলাকার কৃষকগণ জানান, তার পরামর্শ অনুযায়ী প্রযুক্তি গ্রহণ করে যথাষ্ট উপকৃত হচ্ছি।



মন্তব্য চালু নেই