যেভাবে এক হিন্দুর কিডনিতে মুসলমান আর মুসলমানের কিডনীতে আরেক হিন্দু বাঁচলো

রক্তের কোনো জাতপাত হয় না। ধর্মও হয় না মানবতার উপর। সকল ধর্মই যে মানুষকে ঘিরে। তা আরো একবারর প্রমাণ হলো ভারতের নাগপুরে। যেখানে এক হিন্দুর কিডনিতে বাঁচলো মুসলিম আবার এক মুসলিমের কিডনিতে জীবন বাঁচলো হিন্দু যুবকের।

কিডনির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৩২ বছরের যুবক বিনোদ সাসানে। ডাক্তাররা বললেন তাকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন একটি সচল কিডনি। বিনোদের বাবা সঙ্গে সঙ্গে রাজিও হলেন ছেলেকে কিডনি দিতে। কিন্তু দিতে চাইলেই তো আর হয় না, রক্তের গ্রুপও তো মিলতে হবে দু’জনের। আর সেটাই অবশেষে বাধ সাধলো, রক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানালেন বাপ-বেটার রক্তের গ্রুপ মেচ করছে না।

অন্যদিকে একই সমস্যায় ভুগছিলেন মোহাম্মদ সাবির (৪০)। স্ত্রী রাজিয়া নিজের কিডনি দিয়ে স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাদেরও রক্তের মেচ করছিল না।

তবে চিকিৎকদের উদ্যোগে সমস্যার সমাধান হয়। দেখা যায়, অশোক সাসানে নিজের কিডনিটি দিতে পারবেন মোহাম্মদ সাবিরকে। আবার একইভাবে স্ত্রী রাজিয়া স্বামীর পরিবর্তে নিজের কিডনিটি দিতে পারেবেন বিনোদ সাসানেকে। সেক্ষেত্রে রক্তের আর বাধ সাধার কোনো সুযোগ নেই।

সেই অনুযায়ী গুত ২৫ মে দুই পরিবারের সম্মতিতে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলা অস্ত্রোপচার সফলও হয়। দু’জনেই এখন ভালো আছেন।

দুই হিন্দু ও মুসলিম পরিবার একে অপরকে কিডনি দিয়ে প্রাণ তো বাঁচালেনই, পাশাপাশি তৈরি হলো দু’টি সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগসূত্রও।



মন্তব্য চালু নেই