যেভাবে ফাইনালে মুস্তাফিজরা

টুর্নামেন্ট শুরুর দিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে নিয়ে অনেকে কৌতুক করেছে। উপহাস করেছে দল গঠন নিয়ে। শুরুটাও করেছিল বাজেভাবে। শেষ পর্যন্ত সেই দলটি এখন ফাইনালে। ডেভিড ওয়ার্নার ও মুস্তাফিজ-ভুবনেশ্বরের কৃতিত্বে শিরোপার লড়াইয়ে র‌য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে মাঠে নামছে দলটি। দেখে নেয়া যাক, মুস্তাফিজদের রোড টু ফাইনাল।

ম্যাচ: ১

বিপক্ষ: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

ফলাফল: ৪৫ রানে হার

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: এবি ডিভিলায়ার্স (আরসিবি)

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: প্রথমে ব্যাট করে কোহলি(৭৫)-ডিভিলিয়ার্সে(৮২) দু৪দান্ত ব্যাটিং এবং শেষ দিকে সরফরাজ খানের ঝোড়ো ৩৫ রানের ইনিংসের সৌজন্য ২২৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় হায়দরাবাদকে। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছ’উইকেটে ১৮২ রানে থেমে যায় ওয়ার্নারদের ইনিংস।

ম্যাচ: ২

বিপক্ষ: কলকাতা নাইট রাইডার্স

ফলাফল: নাইট রাইডার্সের কাছে আট উইকেটে হার।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: গৌতম গম্ভীর

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: মর্গ্যানের অর্ধ-শতরানে হায়দরাবাদ সাত উইকেটে ১৪২ রান তোলে। কিন্তু ঘরের মাঠে কলকাতা অধিনায়ক গম্ভীরের ব্যাটে ভর করে দু’উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়।

ম্যাচ: ৩

বিপক্ষ: মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

ফলাফল: হায়দরাবাদ সাত উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: হায়দরাবাদ বোলারদের দাপটে মাত্র ১৪২ রান তোলে রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং। জবাবে অধিনায়ক ওয়ার্নারের ৪২ বলে ৫০ রানের সৌজন্যে টুর্নামেন্টের প্রথম জয় পায় হায়দরাবাদ।

ম্যাচ: ৪

বিপক্ষ: গুজরাট লায়ন্স

ফলাফল: সানরাইজার্স দশ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ভুবনেশ্বর কুমার

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: ভুবনেশ্বরের চার উইকেট ও বাকি বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে গুজরাতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে মাত্র ১৩৫ রানে আটকে রাখে হায়দরাবাদ। জবাবে দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও ওয়ার্নার অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দেন।

ম্যাচ: ৫

বিপক্ষ: কিংস ইলেভেন পঞ্জাব

ফলাফল: হায়দরাবাদ পাঁচ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুস্তাফিজুর রহমান

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের দাপটে(চার ওভারে ন’রান দিয়ে দু’উইকেট) মাত্র ১৪৬ রান করে প্রীতির দল। দুই ওপেনারের দাপটে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান ১৩ বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় সানরাইজার্স।

ম্যাচ: ৬

বিপক্ষ: রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টস

ফলাফল: সুপারজায়ান্টসের কাছে ৩৪ রানে হার(ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অশোক দিন্দা

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে পুণে বোলারদের দাপটে আট উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৮ রান করে হায়দরাবাদ। জবাবে ১১ ওভারের শেষে পুণের রান যখন তিন উইকেটে ৯৪। তখন বৃষ্টি ম্যাচে থাবা বসায়। ফলে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ৩৪ রানে ম্যাচটি জিতে নেয় ধোনি ব্রিগেড।

ম্যাচ: ৭

বিপক্ষ: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

ফলাফল: হায়দরাবাদ ১৫ রানে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: প্রথমে ব্যাট করে অধিনায়ক ওয়ার্নার (৫০ বলে ৯২), কেন উইলিয়ামসন (৩৮ বলে ৫০) এবং মোজেস হেনরিকেসের ঝোড়ো ইনিংসের (১৪ বলে ৩১) সুবাদে হায়দরাবাদ নির্ধারিত কুড়ি ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৯৪ রান তোলে। ১৯৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে বিরাট-ওয়াটসন-এবিডিভিলিয়ার্সের বেঙ্গালুরুর ইনিংস ১৭৯ রানেই থেমে যায়।

ম্যাচ: ৮

বিপক্ষ: গুজরাট লায়ন্স

ফলাফল: হায়দরাবাদ পাঁচ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ভুবনেশ্বর কুমার।

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদ বোলিং লাইন আপের সামনে মাত্র ১২৬ রান তুলতে সক্ষম হয় সুরেশ রায়নারা। জবাবে এক ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

ম্যাচ: ৯

বিপক্ষ: মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

ফলাফল: হায়দরাবাদ ৮৫ রানে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আশিষ নেহরা।

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: প্রথমে ব্যাট করে ওয়ার্নার(৪৮), ধাওয়ান(৮২) ও যুবরাজের(৩৯) সৌজন্যে হায়দরাবাদের সংগ্রহ তিন উইকেটে ১৭৭। জবাবে আশিষ নেহরার দাপটে মাত্র ৯২ রানে অলআউট হয়ে যায় রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং।

ম্যাচ: ১০

বিপক্ষ: রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টস

ফলাফল: হায়দরাবাদ চার রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অ্যাডাম জাম্পা

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: প্রথমে ব্যাট করে অজি লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পার ছ’উইকেটে মাত্র ১৩৭ রানই স্কোরবোর্ডে তুলতে সক্ষম হন যুবরাজরা। কিন্তু দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ চার রানে জিতে নেয় হায়দরাবাদ।

ম্যাচ: ১১

বিপক্ষ: দিল্লি ডেয়ারডেভিলস

ফলাফল: দিল্লির কাছে সাত উইকেটে হার।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ:ক্রিস মরিস

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: দুই ওপেনার রান রান পেলেও পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৪৬ রান তোলে হায়দরাবাদ। জবাবে ১১ বল বাকি থাকতে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় দিল্লি ডেয়ারডেভিলস।

ম্যাচ: ১২

বিপক্ষ: কিংস ইলেভেন পঞ্জাব

ফলাফল: হায়দরাবাদ সাত উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ:হাশিম আমলা

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান আমলার ৯৬ রানের ঝকঝকে ইনিংসের সৌজন্যে চার উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান করেন। জবাবে শুরুতে ওয়ার্নার(৫২) ও শেষ দিকে যুবরাজ(অপরাজিত ৪২) দলকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করে।

ম্যাচ: ১৩

বিপক্ষ: দিল্লি ডেয়ারডেভিলস

ফলাফল: দিল্লির কাছে ছ’উইকেটে হার।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: করুন নায়ার

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: প্রথমে ব্যাট করে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সানরাইজার্স অধিনায়ক ওয়ার্নারের ৭৩ রানের সৌজন্যে ১৫৭ রান করে হায়দরাবাদ। জবাবে দিল্লির তরুণ খেলোয়াড় করুন নায়ারের ৮৩ রানের ইনিংসে শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি।

ম্যাচ: ১৪

বিপক্ষ: কলকাতা নাইট রাইডার্স

ফলাফল: কলকাতার কাছে ২২ রানে হার

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইউসুফ পাঠান

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: প্রথমে ব্যাট করে পাঠান পাওয়ারে হায়দরাবাদকে ১৭২ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় নাইটরা। জবাবে কেকেআর বোলারদের দাপটে আট উইকেটে ১৪৯ রানেই থেমে যায় ওয়ার্নারদের ইনিংস।

ম্যাচ: এলিমিনেটর

বিপক্ষ: কলকাতা নাইট রাইডার্স

ফলাফল: হায়দরাবাদ ২২ রানে জয়

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোজেস হেনরিকেস

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: টুর্নামেন্টে লিগ টেবিলে তিন ও চার নম্বরের থাকা দু’দলের কার্যত কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইতে প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদ যুবরাজ(৪৪) ও হেনরিকেসের(৩১) ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ১৬২ রান করে। জবাবে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারানোর কারণে ১৪০ রানেই থেমে যায় নাইটদের ইনিংস। সেই সঙ্গে টুর্নামেন্ট থেকেও ছিটকে যায় গৌতম গম্ভীররা।

ম্যাচ: কোয়ালিফায়ার টু

বিপক্ষ: গুজরাট লায়ন্স

ফলাফল: হায়দরাবাদ চার উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ১৬২ রান করে সুরেশ রায়না অ্যান্ড কোং। জবাবে অধিনায়ক ওয়ার্নার একার কাঁধে দলকে জিতিয়ে ফাইনালে তোলেন। তিনি ৫৮ বলে ৯৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া বিপুল শর্মা ১১ বলে ঝোড়ো ২৭ রান করেন।



মন্তব্য চালু নেই