যেভাবে হবে মীর কাসেমের রায় কার্যকর

মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিটি রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হই। জামায়াতের শীর্ষ নেতা মীর কাসেম আলীর রায়েও বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার সন্তুষ্ট। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পর সচিবালয়ে সংবাদকর্মীদের কাছে এ প্রতিক্রিয়া জানান আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে এ রায় কার্যকর করা হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী। আর আইনি প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমাস আইনে দণ্ডিত অপরাধী রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আদালতে রিভিউ আবেদনের সুযোগ পাবেন। রায় ঘোষণার দিন থেকে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ওই রিভিউ আবেদন করতে পারবেন দণ্ডিত ব্যক্তি। আসামি রিভিউ আবেদন করলে তা নিষ্পত্তির পর পর রায় কার্যকর করা হবে। আর দণ্ডিত ব্যক্তি রিভিউ আবেদন না করলে আইনি প্রক্রিয়া মেনে রায় কার্যকরের ব্যবস্থা নেবে সরকার।’

প্রধান বিচারপতি ও বিচার বিভাগ নিয়ে দুই মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও অ্যাডভোটে কামরুল ইসলামের মন্তব্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সাবজুডিস বিষয়। এ নিয়ে কেন আপনারা আমাকে প্রশ্ন করছেন। সাবজুডিস কোনো বিষয়ে আমি আগেও কথা বলিনি, এখনো বলবো না।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট একটি প্রতিষ্ঠান, বিচারপতিরা ওই প্রতিষ্ঠানের অংশ। সাবজুডিস বিষয়ে কারো বক্তব্য করা উচিত নয়। এতে দেশের ও আদালতের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়।’

মীর কাসেম আলীর রায় নিয়ে সরকারের চাপ ছিল কি না জানাতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার বিভাগের কাজে সরকার হসস্তক্ষেপ কিংবা চাপ দেয় না।’ মন্ত্রীদের বক্তব্যে বিচার বিভাগ নিয়ে আস্থাহীনতার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।



মন্তব্য চালু নেই