যেসব পৌরসভায় আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী

দল থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দিয়ে ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বিদ্রোহী প্রার্থীদের বশে আনতে জেলায় জেলায় সফরও করে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে একাদিক বৈঠকও করেন তারা। টোপ দেয়া হয় কমিটিগুলোতে ভালো পদ দেয়ারও। কিন্তু এতো কিছুর পর ৬০টি জেলাতেই রয়ে রায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।

আওয়ামী লীগ নেতাদের স্ত্রী, ভাই, জামাতা ও নিকটাত্মীয়দের পৌর নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে শুরুতেই অভিযোগ উঠে। মাঠের পরিক্ষীত নেতাদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি, তাই দলটিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি বলে অভিযোগ কিছু কিছু নেতার। আবার কোথাও কোথাও এমপি-মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয়রা মনোনয়ন পায়নি বলেও তাদের ইন্ধনে অনেকেই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।

যেসব পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনে লড়ছেন। তারা হলেন- টাঙ্গাইলের বেলায়েত হোসেন (গোপালপুর), আজহারুল ইসলাম (ভূঞাপুর) ও হুমায়ুন খালিদ (কালিহাতী); জামালপুরের সাজেদ মোশাররফ (ইসলামপুর) ও শেখ মোহাম্মদ নুরনবী (দেওয়ানগঞ্জ); শেরপুরের আবদুল হালিম উকিল (নালিতাবাড়ী); ময়মনসিংহের দেবাশীষ ঘোষ (মুক্তাগাছা), মো. শাহজাহান (ফুলপুর), শফিকুল ইসলাম (গৌরীপুর), এ বি এম আনিসুজ্জামান (ত্রিশাল) ও ওমর ফারুক (ভালুকা); নেত্রকোনার জহিরুল ইসলাম (মোহনগঞ্জ) ও আবদুল হান্নান তালুকদার (মদন); কিশোরগঞ্জের আবদুল কাইয়ুম (করিমগঞ্জ), শওকত আকবর (বাজিতপুর), সৈয়দ হোসেন ও আবদুল কাদির (হোসেনপুর)।

চট্টগ্রামে সিরাজ উদ দৌলা ও সফিউল আলম (সীতাকুণ্ড); কুমিল্লায় আবদুল মান্নান সরকার (চান্দিনা) ও ইমাম হোসেন পাটোয়ারী (চৌদ্দগ্রাম); সুনামগঞ্জে আবদুল ওয়াহিদ (ছাতক); মৌলভীবাজারে শফি আলম ইউনুস (কুলাউড়া) ও আবদুর নূর (বড়লেখা); হবিগঞ্জে মিজানুর রহমান (সদর) ও আতাউর রহমান (শায়েস্তাগঞ্জ); সিলেটে ফারুক আহমদ (জকিগঞ্জ), ইকবাল আহমদ চৌধুরী ও আমিনুল ইসলাম (গোলাপগঞ্জ) ও নিজাম উদ্দিন (কানাইঘাট); ঢাকায় আবদুস সাত্তার (সাভার); নরসিংদীতে এস এম কাইয়ুম (সদর); মানিকগঞ্জে গাজী কামরুল হুদা (সদর) ও মীর মো. শাজাহান (সিঙ্গাইর); মুন্সিগঞ্জে রেজাউল ইসলাম (সদর) ও মনসুর আহমেদ (মিরকাদিম); গাজীপুরে আহসান উল্লাহ (শ্রীপুর); নারায়ণগঞ্জে সাদেকুর রহমান (সোনারগাঁ)।

ফরিদপুরে মোজাফ্ফর হোসেন (বোয়ালমারী) ও মুরাদ হোসেন (নগরকান্দা), মাদারীপুরে আবুল কালাম আজাদ (কালকিনি), শরীয়তপুরে ফারুক আহমেদ (সদর), বাবু রাঢ়ী (নড়িয়া), আক্কাস মুন্সি ও আবুল খায়ের ফকির (জাজিরা); গোপালগঞ্জে মুশফিকুর রহমান (সদর); বরগুনায় শাহাদত হোসেন (সদর)।

রাজশাহীতে গোলাম কিবরিয়া (চারঘাট), হাসানুজ্জামান (দুর্গাপুর) ও জি এম হিরা (পুঠিয়া); সিরাজগঞ্জে আবদুর রহিম (শাহজাদপুর); জয়পুরহাটে এনায়েতুর রহমান আকন্দ (আক্কেলপুর) ও সাজ্জাদুর রহমান (কালাই); বগুড়ায় এ জি এম বাদশা (ধুনট) ও আবদুল হামিদ (সারিয়াকান্দি); চাঁপাইনবাবগঞ্জে কারিবুল হক (শিবগঞ্জ); পাবনায় তোফাজ্জল হোসেন (সুজানগর), আজাদ খান (ভাঙ্গুড়া), মির্জা রেজাউল করিম (চাটমোহর), আসাদুজ্জামান (ফরিদপুর), নফিজ উদ্দিন সরকার (সাঁথিয়া)।

মেহেরপুরে আশরাফুল ইসলাম (গাংনী); কুষ্টিয়ায় আতাহার আলী (মিরপুর), জাকারিয়া খান (কুমারখালী), আল মাসুম মোরশেদ ও আলাউদ্দিন (খোকসা); চুয়াডাঙ্গায় (সদর) ওবায়দুর রহমান চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম (জীবননগর); ঝিনাইদহে তৈয়বুর রহমান খান (শৈলকুপা); যশোরে এস এম কামরুজ্জামান (সদর), জি এম মজিদ (মনিরামপুর), ফারুক হোসেন (নওয়াপাড়া), খলিলুর রহমান (বাঘারপাড়া) ও এস এম সাইফুর রহমান (চৌগাছা); নড়াইলে সোহরাব হোসেন বিশ্বাস ও আলমগীর হোসেন (সদর), এমদাদুল হক, মুশফিকুর রহমান, লায়েক হোসেন ও সোহেলী পারভীন (কালিয়া); বাগেরহাটে মিনা হাসিবুল হাসান (সদর); সাতক্ষীরায় আরাফাত হোসেন (কলারোয়া)।

ঠাকুরগাঁওয়ে এস এম সোলায়মান আলী সরকার (সদর); দিনাজপুরে লিয়াকত আলী সরকার (বিরামপুর); নীলফামারীতে ইলিয়াস হোসেন (জলঢাকা) এবং গাইবান্ধায় মাসুদুল ইসলাম (সুন্দরগঞ্জ)।

গতকাল রোববার দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে সকল বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। কার্যনির্বাহী সংসদের আগামী সভায় তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।’



মন্তব্য চালু নেই