যেসব সিনেমা দেখে মারা গিয়েছে মানুষ

চলচ্চিত্র বিনোদনে অন্যতম একটি মাধ্যম। কারণ এখানে ফুটে উঠে মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবি। পাওয়া যায় হাসি-আনন্দ, কান্না ও বেদনা। তবে সিনেমা দেখে মারা গিয়েছে মানুষ! এমন কথা কি কেউ কখনো শোনেছেন?

সিনেমা দেখে মানুষ মারা গিয়েছে! শোনতে কেমন অদ্ভুত লাগছে না? অদ্ভূত লাগারই কথা। তবে এটাই সত্য যে, বিশ্বের মধ্যে এমন কিছু সিনেমা আছে যা দেখে উত্তেজনায় অনেকেই মারা গেছেন। তাহলে আসুন জেনে নিই সেসব সিনেমার কথাগুলো।

১। লোন সারভাইভার (Lone Survivor)- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সিল দলের এক তালিবান নেতাকে ধরার বাস্তব জীবনের গল্পে নির্মিত হয় এই সিনেমা। এটি দেখতে দেখতে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনাটা ঘটে এইভাবে ফ্লোরিডার এক হলে সিনেমাটা দেখছিল ছাদ ওলসান নামের এক ব্যক্তি। তার পিছনের সারিতেই বসলেন ৭১ বছরের এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার, নাম কার্টিস রাভিস। ওলসান সিনেমাটি দেখতে দেখতে মোবাইলে একজনকে টেক্সট করছিলেন। তাতে আপত্তি জানান এই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। দুজনের ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। কিছুক্ষণ বাদে পকেট থেকে বন্দুক বের করে ওলসানকে হত্যা করেন সেই পুলিশ অফিসার। অথচ সিনেমা হলে একটা সময় সেই পুলিশ অফিসারটিও এসএমএস করেছিলেন।

২। দ্য ক্রিপিং আননোন (The Creeping Unknown)- ভয়ের সিনেমা। ৯ বছরের স্টুয়ার্ট কোহান নামের এক বালক সিনেমাটা দেখে এতটা ভয় পায় যে হার্ট অ্যাটাক করে সিনেমা হলেই মারা যায়।

৩। দ্য টোয়ালাইট সাগা-একল্পিস (The Twilight Saga: Eclipse)- হলে সিনেমাটা দেখতে দেখতে ও খুব কাঁদছিল। গার্লফ্রেন্ড সেদিনই ওর সঙ্গে ব্রেকআপ করে। সিনেমাটাও তাকে খুব ব্যথা দেয়। হলেই ও খুব মদ্যপান করছিল। শেষ অবধি সিনেমার মাঝপথেই ও মারা যায়। ওর নাম ড্যামিয়েন অ্যানথনি সিমেথি।

৪। গ্র্যান্ড মস্তি (Grand Masti)–না শুধু বিদেশের সিনেমা নয় বলিউডের সিনেমা দেখতে দেখতেও মানুষ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ইন্দ্র কুমারের এই কমেডি সিনেমা দেখতে গিয়ে হাসতে হাসতে জ্ঞান হারান মঙ্গেস ভোগাল নামের এক ব্যক্তি। তত্‍ক্ষণাত্‍ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ডাক্তাররা জানান হাসপাতালে আনার আগেই স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

৫। ব্ল্যাক সোয়ান (Black Swan)- সিনেমা হলে পপর্কন নিয়ে মারামারি। মাঝপথে মৃত্যু। ২৭ বছরের এক মহিলা মেরে ফেলে ৪২ বছরের এক মহিলাকে। কারণ খুব জোর শব্দ করে পপকর্ন খাচ্ছিলেন। যার জন্য নাকি সিনেমাটা দেখায় তার ব্যাঘাত ঘটছিল।

৬। অবতার-৪২ বছরের তাইওয়ানের কুয়ো নামের এক ভদ্রলোকের ভারী পছন্দের সিনেমা এটা। দ্বিতীয়বার সিনেমাটা হলে দেখতে গিয়ে উত্তেজনায় উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগে কোনওরকমে হল থেকে বেরিয়ে আসেন। কিছুটা ভাল লাগলে ফের সিনেমা হলে ঢোকেন। বেরিয়ে এসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে মারা যান সেই ভদ্রলোক। কারণ অবতার দেখে তিনি দারুণরকম উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই