যে অপেক্ষায় আছেন হ্যাপি!

তার সম্পর্কে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। যখন তোমার কেউ ছিল না, তখন ছিলাম আমি, এখন তোমার সব হয়েছে পর হয়েছি আমি- অনেকটা আক্ষেপ করেই কথাগুলো বললেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি। সাম্প্রতিক কালে মিডিয়াপাড়ায় অন্যতম উচ্চারিত এই নাম। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে আলোচনায় আসেন এ অভিনেত্রী। মূলত ১৩ ডিসেম্বর ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে নড়েচড়ে ওঠে গোটা দেশ। টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হন হ্যাপি। মামলার বিভিন্ন বেড়াজাল ডিঙিয়ে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন পেসার রুবেল। মনযোগ নিবেশ করেছেন মাঠে। কারণ দু’তিনের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমাবেন বিশ্বকাপ খেলতে। বর্তমানে ব্যস্ততা ঘিরে রেখেছে তাকে।

অন্যদিকে, কিছুটা একাকিত্বের ঘোরটোপে আটকে রয়েছেন হ্যাপি। অপেক্ষা করছেন মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য। তবে মানসিকভাবে এখন আগের চেয়ে অনেক দৃঢ় বলে তিনি জানালেন।

কেমন আছেন জানতে চাইলে হ্যাপি বলেন, আপাতত মামলার কোনো ব্যস্ততা নেই। অপেক্ষা করছি বিশ্বকাপ শেষ হোক। এরইমধ্যে পুলিশ হয়তো আদালতে চার্জশিট দাখিল করবে। তখন থেকে এ মামলা আরও বেগবান হবে। সব মিলিয়ে এই তো বেঁচে আছি।

আগামী মাসের ১৫ তারিখে এর শ্যুটিং শুরু হবার কথা। এছাড়া গুলজার ভাই ও জমশেদ ভাইয়ের ছবিতেও কাজ করার প্রাথমিক কথাবার্তা চলছে। এসব নিয়েই দিন কাটছে আমার।

হ্যাপির পক্ষে তার আইনজীবী ইউনুস আলী আকন এ আবেদন করেন। গত ১৫ ডিসেম্বর বিচারপতি সৈয়দ এবি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুবেল হোসেনকে আগাম জামিন দেয়।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের জামিন মেয়াদ শেষ হওয়ায় ঢাকা মহানগর আনোয়ার ছাদাতের আদালতে রুবেল আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

১১ জানুয়ারি সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েসের আদালতে রুবেলের আইনজীবী সজয় চক্রবর্তী তার জামিনের আবেদন করেন। ১৪ জানুয়ারি, রুবেল হোসেনকে নির্বিঘ্নে বিদেশ গমন এবং বিদেশে অবস্থানকালে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন আদালত। আর তাতেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয় রুবেলের। পরে দলের সাথে যোগ দিয়ে অনুশীলনে নামেন তিনি।

রুবেলের জামিনের আবেদনে বলা হয়, এ মামলার অভিযোগের সঙ্গে রুবেল হোসেন জড়িত নয়। দেশ ও জাতীয় স্বার্থে রুবেল হোসেনকে জামিন দেওয়া উচিত। আবেদনে আরও বলা হয়, রুবেল হোসেন একজন পেসার। আসন্ন বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তাকে প্রয়োজন।

গত ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর হ্যাপী নিজেই (১৯) বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে (মামলা নং-৩৭) রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, প্রায় ৮ মাস আগে রুবেলের সঙ্গে হ্যাপির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সর্বশেষ গত বছরের ১ ডিসেম্বর রুবেল হ্যাপীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়েছিল। ওই সময় হ্যাপি রুবেলকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি এড়িয়ে যান।



মন্তব্য চালু নেই