যে কারণে আটকে আছে সাঈদীর রিভিউ পিটিশন শুনানি

জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রিভিউ পিটিশনের শুনানি ঝুলে আছে বিচারক নিয়োগে। ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির দ-াদেশ পাওয়া সাঈদীর আপিল শুনানি হয় পূর্ণাঙ্গ কোর্টে অর্থাৎ পাঁচ জন বিচারপতি শুনানি করেন এবং তাতে তার ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্য কারাদণ্ডাদেশ হয়।

বর্তমানে আপিল বিভাগে চার জন বিচারপতি রয়েছেন। বিচারপতি শামসুদ্দিন আহমেদের অবসরে যাওয়ার পর আপিল বিভাগে চার জন বিচারপতি দায়িত্বপালন করছেন। আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে প্রধান বিচারপতি ও সরকারের ওপর।

এ ব্যাপারে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, সাঈদীর রিভিউ শুনানি কবে হবে তা আমি এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলতে পারছিনা। তবে সাঈদীর আপিল শুনানি করেছিলেন পাঁচ জন বিচারপতি। এখন আপিল বিভাগে রয়েছেন চার জন বিচারপতি। একজন বিচারক নিয়োগ দিলেই শুনানি হতে পারে।

সাঈদীর আইনজীবী সাইফুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আপিল বিভাগের বিষয়, আপিল বিভাগ যখন তারিখ ধার্য করবেন ঠিক তখনই শুনানি হবে। ঠিক কখন শুনানি হবে এটা আমাদের পক্ষ বলা সম্ভব নয়।

গত ১৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছেন জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। সরকার পক্ষও রিভিউ পিটিশন ফাইল করে। তবে ট্রাইব্যুনাল সাঈদীকে মৃত্যুদ-াদেশ দেয়।

গত ৩১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আমৃত্যু কারাবাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে। রায় প্রকাশের পরই আসামি পক্ষ জানিয়েছিল তারা সাঈদীর খালাস চেয়ে রিভিউ পিটিশন দায়ের করবে আপিল বিভাগে।

২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়।



মন্তব্য চালু নেই