যে কারণে আপনার হাতঘড়ি পরা উচিৎ

প্রযুক্তির সাথে সাথে দেয়ালের ঘড়ি হাত থেকে হাতের মুঠো অব্দি পৌঁছে গিয়েছে। কম্পিউটার বা মোবাইলের পর্দায় চোখ রাখলেই এখন জানতে পারা যায় সময়। তাই বর্তমান সময়ে হাতঘড়ির দরকার পড়েনা বললেই চলে। আগের তুলনায় এই হাতঘড়ি ব্যবহারে ভাঁটা পড়তে শুরু করেছে তাই অনেকদিন হলো। কিন্তু প্রযুক্তির সময়কে আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিলেও পুরোন সেই হাতঘড়ি হাতে গলানোর প্রয়োজন রয়েছে আপনারও। কিন্তু কেন ব্যবহার করবেন আপনি হাতঘড়ি? চলুন জেনে আসি কারণগুলো।

১. পেশাদারিত্ব ও নির্ভরতার প্রতীক

হাতঘড়ি একটু পুরোন পুরোন গন্ধ নিয়ে আসে মানুষের ভেতরে, বিশেষ করে সাধারণ আর অফিশিয়াল হাতঘড়ি- এমনটা যারা মনে করেন থাকেন তাদেরকেই বলছি, এটি একটু পুরোন ঘরানার হতে পারে বটে, তবে অফিসিয়ার পরিবেশের জন্যে এটিই মানানসই। আপনার হাতের হাতঘড়ি আপনার মনের আত্মবিশ্বাসকে যেমন বাড়িয়ে তুলবে তেমনি অন্যের কাছে তুলেও ধরবে অনেক বেশি পেশাদারী ও নির্ভর করার যোগ্য মানুষ হিসেবে।

২. মোবাইল চুরি রোধ

মোবাইল থেকে সময় দেখতে গিয়ে পকেটের স্মার্টফোনটা হাতে নিয়েছেন আর সেটা পকেটে ঢোকাতে গিয়ে নীচে পড়ে গিয়েছে কিংবা ছিনতাই হয়েছে এমনটা কিন্তু খুবই স্বাভাবিক ঘটনা বর্তমান সময়ে। তাই মোবাইল হাতে না রেখে বা খুব বেশি পকেট থেকে না বের করেই সময় জেনে নেওয়ার সবচাইতে নিরাপদ আর চমত্কার উপায়টি আপনার জন্যে হতে পারে আপনার হাতের হাতঘড়িটি।

৩. আনুষাঙ্গিক/অ্যাকসেসরি হিসেবে

একবার ভেবে দেখুন তো, একজন নারী কর্মীর বেশকিছু আনুষাঙ্গিক ব্যবহার্য থাকে পোশাকের সাথে যেগুলো কিনা কর্মক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারেন তিনি। কিন্তু একজন পুরুষের ক্ষেত্রে এই দিক দিয়ে ভাবতে গেলে অফিসিয়াল লুকের সাথে যায় এমন কোন আনুষাঙ্গিকই নেই বললেই চলে। যদি কোন আনুষাঙ্গিক এক্ষেত্রে থেকে থাকে সেটি হচ্ছে হাতঘড়ি! যেটা অফিসে কেবল ব্যবহারই করা যায়না, উপস্থাপনও করা যায় নিজেকে অনেক বেশি যুতসইভাবে।

৪. কর্মক্ষেত্রে সাফল্য

শুনতে খুব অদ্ভূত মনে হলেও এটা কিন্তু সত্যি যে হাতঘড়ি বিষয়টি কেবল আপনার উপস্থাপনাকেই আরো বেশি প্রাণবন্ত ও দৃষ্টিনন্দন করে তোলেনা, বরং আপনার সামনে বসে থাকা মানুষগুলোর মনেও আপনার সম্পর্কে তৈরি করে বেশ ইতিবাচক একটি ধারণা। বিশেষ করে চাকুরীর ইন্টারভিউ থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক মিটিং- সবখানেই এটি বেশ ভালো কাজে দেয়।



মন্তব্য চালু নেই