যে কারণে কাঁকরোল খাওয়া ভালো

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অতি পরিচিত একটি সবজি কাঁকরোল। কাঁচা অবস্থায় এটি দেখতে সবুজ থাকে এবং পাকলে লাল বা কমলা বর্ণ ধারণ করে। এর গায়ে ছোট ছোট কাঁটা থাকে বলে একে ছোট কাঁঠাল ও বলা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Momordica cochinchinensis। এটি দক্ষিণ চীন থেকে উত্তর-পূর্ব অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত সকল অঞ্চলে পাওয়া যায়। থাইল্যান্ড, লাউস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। কাঁকরোলের আদি উৎস হিসেবে ধরা হয় ভিয়েতনামকে। কাঁকরোলে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল থাকে, লুটেইন ও জেনান্থিন থাকে যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়াও এতে ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এনজাইম ও থাকে।

কাঁকরোলে টমেটোর চেয়ে ৭০ গুণ বেশি লাইকোপিন থাকে, গাজরের চেয়ে ২০ গুণ বেশি বিটা ক্যারোটিন থাকে, কমলার চেয়ে ৪০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে এবং ভুট্টার চেয়ে ৪০ গুণ বেশি জিয়াজেন্থিন থাকে। কাঁকরোলের স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়েই জানবো আজ।

১। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে যে, কাঁকরোলের পুষ্টি উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ক্যান্সার কোষের সংখ্যা বৃদ্ধিকে ধীর গতির করতে পারে। এতে নির্দিষ্ট একটি প্রোটিন থাকে যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করতে পারে। এজন্যই কাঁকরোলকে “স্বর্গীয় ফল” আখ্যা দেয়া হয়।

২। অ্যানেমিয়া প্রতিহত করে

কাঁকরোলে প্রচুর আয়রন থাকার পাশাপাশি ভিটামিন সি ও ফলিক এসিড ও থাকে বলে অ্যানেমিয়ার প্রতিহত করতে পারে।

৩। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে

যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি বা যাদের উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরলের পারিবারিক ইতিহাস আছে তাদের কাঁকরোল খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে কাঁকরোল।

৪। কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ প্রতিরোধ করে

যেহেতু কাঁকরোলে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তাই এটি কার্ডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সক্রিয় জীবনযাপনের পাশাপাশি কাঁকরোল খাওয়া হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

৫। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়

কাঁকরোলে চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভিটামিন, বিটাক্যারোটিন ও অন্যান্য উপাদান থাকে যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করার পাশাপাশি চোখের ছানি প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

৬। বিষণ্ণতা প্রতিহত করে

কাঁকরোলে সেলেনিয়াম, মিনারেল এবং ভিটামিন থাকে যা নার্ভাস সিস্টেমের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। তাই বিষণ্ণতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে কাঁকরোল।

৭। তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে

কোষের কার্যক্রমকে উদ্দীপিত করার মাধ্যমে এবং স্ট্রেস কমানোর মাধ্যমে বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর গতির করতে সাহায্য করে কাঁকরোল। কোলাজেনের গঠনকে পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে বয়সের ছাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে কাঁকরোল।



মন্তব্য চালু নেই