যে কারণে মাইকেল জ্যাকসন প্লাস্টিক সার্জারি করতেন!

তিনি নেই। তবুও রয়েছেন হাজারো-কোটি ভক্তের হৃদয়ে। তিনি মার্কিন পপ গায়ক হলেও তার পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। হ্যাঁ, তিনি মাইকেল জ্যাকসন- পপ গায়ক, গীতিকার, নৃত্যশিল্পী, অভিনেতা ও ব্যবসায়ী।

যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৫৮ সালের ২৯ আগস্ট জন্ম মাইকেল জ্যাকসনের। বাবা জো জ্যাকসন ইস্পাত শ্রমিক হলেও ব্যান্ডদলে গিটার বাজাতেন। মা ক্যাথরিন জ্যাকসন চমৎকার পিয়ানো বাজাতেন। ১০ ভাই-বোনের মধ্যে অষ্টম ছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। শৈশবে ভাই-বোনদের সঙ্গে দুরন্তপনা করেই কেটেছে জ্যাকসনের সময়। এমনই দুষ্টু ছিলেন যে, বোনদের বিছানায় মাকড়সা ছেড়ে দিতেন।

পাঠক এ সবই হয়তো আপনার জানা। কিন্তু আপনি কি জানেন জ্যাকসন কৌতুক খুব পছন্দ করতেন। জনপ্রিয় কমেডি সিরিজ ‘দ্য থ্রি স্টুজেস’-এর বিশাল ভক্ত ছিলেন তিনি। আর ভয় পেতেন কাতুকুতু। খুব সহজেই কাতুকুতু দিয়ে কাবু করে ফেলা যেত তাকে। অথচ এই তিনি আবার ভয়ংকর প্রকৃতির সাপ পুষতেন। সাপটির নাম রেখেছিলেন ‘মাসলস’। এ ছাড়াও ‘ক্রাশার’ নামে একটি অজগর সাপও ছিল তার।

১৯৬৪ সালে জ্যাকি, টিটো, জারমেইন, মারলন ও মাইকেল পাঁচ ভাই মিলে তৈরি হয় ব্যান্ড ‘জ্যাকসন ফাইভ’। মাইকেল জ্যাকসন তখন থেকেই স্টার। অথচ তার বয়স তখন মাত্র ছয়। এক স্মৃতিচারণে তিনি বলেছিলেন, শৈশবে তিনি ভীষণ একাকীত্বে ভুগতেন। শৈশবের সেই দুঃসহ স্মৃতি আমৃত্যু তাড়া করে ফিরত তাকে। অতৃপ্ত শৈশবের স্বাদ পেতে ১৯৮৮ সালে ২ হাজার ৭০০ একর জায়গায় গড়ে তুলেছিলেন নেভারল্যান্ড র্যা ঞ্চ। সেখানে সাংবাদিক বা সেলিব্রেটিদের তিনি আমন্ত্রণ জানাতেন না। শিশুরাই ছিল সেই স্বপ্নরাজ্যের অতিথি।

জ্যাকসনের প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের কমতি কোনো কালেই ছিল না। তিনি ১৯৭৯ সালে নাচের অনুশীলন করতে গিয়ে আহত হন। এতে নাক ভেঙে যায়। প্রথমবারের মতো তার ভাঙা নাকে প্লাস্টিক সার্জারি করতে হয়। এরপর একবার পেপসি’র বিজ্ঞাপনে শুটিং করতে গিয়ে চুলে আগুন ধরে যায়। মাথার তালুতে থার্ড ডিগ্রি বার্ন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

ক্ষত ঢাকতে পুনরায় প্লাস্টিক সার্জারি করতে হয়। ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া দেড় মিলিয়ন ডলার তিনি হাসপাতালে দান করে দেন। এরপর আরো কয়েকবার তিনি প্লাস্টিক সার্জারি করেন। যতবারই তিনি এ কাজ করেছেন ততবারই শিরোনাম হয়েছেন সংবাদ মাধ্যমের। অনেকে বলেন, ব্রুক শিল্ডকে অসম্ভব পছন্দ করতেন মাইকেল। বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন কিন্তু ব্রুক রাজি হননি। এই দুঃখ ঢাকতেও তিনি চেহারায় খানিকটা বদল আনেন। তাতেও যখন সফল হননি তখন ঝুঁকে পড়েন এলভিস প্রিসলির মেয়ে লিসা মেরি প্রিসলির দিকে। ১৯৯৪ সালে এ দুজনের বিয়ে হয়। যদিও তাদের দাম্পত্যজীবন ছিল মাত্র দুই বছরের।



মন্তব্য চালু নেই